প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার ডি এক্স রেডিও ফ্যান ক্লাবের শ্রী সুকদেব কুমার ঘোষ
উঃ চীনে নয় বছর বাধ্যতামূলক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করার ফলে চীনে শিক্ষা গ্রহণকারীদের সংখ্যা বিংশ শতাব্দীর ৯০'র দশকের প্রথম দিকের শতকরা ৪০ ভাগ থেকে বেড়ে বর্তমানের শতকরা ৯২ ভাগে উন্নীত হয়েছে। তরুণ-তরুণী এবং প্রৌঢ়প্রৌঢ়ীদের মধ্যে নিরক্ষরের সংখ্যা ১৯৯০ সালের শতকরা ১০.৩ ভাগ নেমে বর্তমানের প্রায় ৪ শতাংশ হয়েছে। চীনে প্রাথমিকভাবে শিক্ষাদানের মৌলিক লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন চীনে ৪ লক্ষেরও বেশি প্রাথমিক স্কুল আছে, প্রাথমিক স্কুলে অধ্যয়নরত ছাত্রের সংখ্যা ১২ কোটি। মাধ্যমিক স্কুল আছে ৬০ হাজারেরও বেশি, অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা আছে ৬ কোটি। উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল আছে ৩০ হাজারাধিক, শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৩ কোটি। বিশ্ববিদ্যালয় আছে ৩০০০টি, ছাত্রছাত্রী আছেন ২ কোটি। চীনের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যার দিক থেকে পৃথিবীতে চীনের স্থান প্রথম।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বার পর্যন্ত মোট ১৭৮টি দেশের ১ লক্ষ ১০ হাজার ৮৪৪ জন বিদেশী ছাত্র চীনের ৩১টি প্রদেশ, স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল এবং কেন্দ্র-শাসিত মহানগরের ৪২০টি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান , বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্রে পড়াশুনা করেন। এর মধ্যে চীন সরকারের ছাত্র-বৃত্তি নিয়ে চীনে আসা বিদেশী ছাকত্রছাত্রীআছেন ৬৭১৫ জন, নিজের খরচে আসা বিদেশী ছাত্র আছেন ১ লক্ষ ৪ হাজার ১২৯ জন।
১৯৭৯ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত মোট ৫ লক্ষ ৩০ হাজার চীনা ছাত্রছাত্রী বিদেশে গিয়ে পড়াশুনা করেছেন। তাঁরা ১৬০টি দেশে ছড়িয়ে আছেন, এর মধ্যে ১ লক্ষ ৫০ হাজার জন ছাত্র লেখাপড়া শেষ করে স্বদেশে ফিরে এসেছেন। ২০০০ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত এই তিন বছরে বিদেশে যাওয়া চীনা ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা নিরন্তরভাবে বেড়ে চলেছে, প্রতি বছরে গড়পরতা ৪০ হাজার জন করে বাড়ছে। ২০০২ সালে ১ লক্ষ ২০ হাজার জনে দাঁড়িয়েছে। বিদেশে যাওয়া চীনা ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ৯৩ শতাংশই নিজেদের খরচে পড়ছেন।
|