প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার ঘোড়াদাইড় গ্রামের বেতার বন্ধু শ্রোতা সংসদের সভাপতি মোঃ জুয়েল আহম্মেদ মল্লিক প্রশ্ন করেছেন ।
উত্তরঃ হ্যান জাতি চীনের সবচেয়ে প্রাচীন জাতি । মোট জনসংখ্যা ১০০ কোটির বেশী । হ্যান জাতি চীনের নানা জায়গায় বাস করেন। চীনের ৫৬টি জাতির মধ্যে, হ্যান জাতির লোকসংখ্যা সবচেয়ে বেশী এবং তাদের বসবাসের জায়গাও খুবই বেশী । হ্যান জাতি নিজের ভাষা ও অক্ষর আছে । হ্যান অক্ষর ৩০০০ বছর ধরে বিবর্তিত হতে হতে বর্তমান রূপ ধারণ করেছে । হ্যান জাতির ভাষাকে হ্যানইয়ু বলা হয়, তা বিশ্বের সুদীর্ঘ ইতিহাসিক ভাষা এটি চীনা ভাষা হিসেবেও পরিচিত । তা জাতি সংঘের অন্যতম ভাষাও বটে ।
হ্যান জাতি ইতিহাস থেকে নানা ধরনের ধর্মস্বাধীনভাবে বিশ্বাস করেন । ভাগ্য ও পূর্বপুরুষগণকে পূজা করা হলো হ্যান জাতির প্রধান ঐতিহ্যিক চিন্তা । পরে, বৌদ্ধ ধর্ম, খ্রীষ্টান ধর্ম,ইসলাম ধর্ম ইত্যাদি ধর্ম চীনে প্রচারিত হয়েছে, হ্যান জাতির জনগণ এসব ধর্মও বিশ্বাস করেছেন । কয়েক হাজার বছর ধরে, কনফুসিয়াসের চিন্তা হ্যান জাতির ওপর বিরাট প্রভাব ফেলেছে । হ্যান জাতি প্রধানত কৃষি কাজ করেন, প্রধান খাবার হচ্ছে গম, শস্য, ভাত ,অন্য খাবার হচ্ছে সবজি , মুর্গি, মাছ, গরু মাংস, ইত্যাদি, চা আর মদ তাঁদের প্রধান পানীয় । হ্যান জাতির রান্নার কৌশলখুব বিখ্যাত ও সুস্বাদু ,বিশ্বের নানা জায়গায় চাইনিজ রেস্টুরেন্ট আছে ।
হ্যান জাতির জনগণ চীনা চা খেতে পছন্দ করেন । ইতিহাস এ পর্যন্ত, প্রায় ৪৭০০ বছরের বেশী । চীনের জনগণ চা আপ্যায়ন ও করে থাকেন । হ্যান জাতির উত্সব বেশী, প্রধানত হচ্ছে: বসন্ত উত্সব, ড্রাগন নৌকা উত্সব,লন্ঠন উত্সব,মধ্যশরত উত্সব ইত্যাদি । বসন্ত উত্সব হলো হ্যান জাতির ঐতিহ্যিক উত্সব এবং এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জাকজমকপূর্ণ উত্সব । প্রাচীনকালের তথ্য থেকে জানা গেছে, হ্যান জাতির নাম প্রাচীনকালের হ্যান রাজবংশের নাম থেকে নেয়া হয়েছে । হ্যান রাজবংশের আগে, হুয়া সিয়া বা জু সিয়া বলা হতো । রাজনীতি, সমরনীতি,সাহিত্য,ইতিহাস,শিল্প ইত্যাদি ক্ষেত্রে এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ক্ষেত্রে, হ্যান জাতির জনগণ অনেক শ্রেষ্ঠ সাফল্য সৃষ্টি করেছেন।
|