প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের পাবনা জেলার কৃষ্ণপুর , লাইব্রেরী বাজারের মোঃ জাকারিয়া হক, নারায়নগঞ্জ জেলার হাউলীপাড়ার মোঃ ওসমান গনি, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার আলপনা সেন, নারায়নগঞ্জ জেলার সোনার গাঁ আলগীর চর গ্রামের গ্রীন লাইফ রেডিও লিসেনার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ মিন ফাইজারুল হক,বগুড়া জেলার দুপচাচিয়ার ওমর ফারুক, কিশোরগঞ্জ জেলার সালুয়াদী গ্রামের এম.এ. আমিন গেলাপ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মোসরুর জুনাইদ, মাগুরা জেলার মালিকগ্রামের মিস লাবন্য, নরসিংদি জেলার নোআকানদি গ্রামের এইচ .এইচ.মান্নান,নওগাঁ জেলার ধামুইরহাটের নাজমুন নাহার ও মুরতাজান আরা ,নাটোর জেলার আলাদী গ্রামের উওরণ সি আর আই লিসনার্স ক্লাবের মোঃ মশিউর রহমান এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা সরকারী কলেজের মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রশ্ন করেছেন ।
উত্তরঃ চীনের দীর্ঘতম নদীর নাম হচ্ছে ছাংচিয়াং অথবা ইয়াংজি নদী ,যা ৬৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ । এই নদীর উত্পত্তি স্থান পশ্চিম চীনের ছিংহাই-তিব্বত মালভূমি । এই নদী পূর্ব চীন সাগরে গিয়ে মিশেছে । পৃথিবীতে তৃতীয় দীর্ঘতম ছাংচিয়াং নদী নীল নদী ও আমাজন নদীর পরই তার স্থান । ছাংচিয়াং নদীর অববাহিকার আয়তন ১.৮ মিলিয়ন(১৮ লক্ষ) বর্গকিলোমিটার । ছাংচিয়াং নদীর নিম্ন উপত্যকার ব-দ্বীপ উর্বর ও সম্পদশালী । তাকে মত্স ও ধানের অঞ্চল বলে আখ্যা দেয়া হয় ।হুয়াংহো চীনের দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী । ৫৪৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদীর উত্পত্তি স্থানও পশ্চিম চীনের ছিংহাই-তিব্বত মালভূমি । হুয়াংহো নদীর অববাহিকার আয়তন ৭ লক্ষ ৭২ হাজার বর্গকিলোমিটার । এই নদী অনেক প্রদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পোহাই সগরে গিয়ে মিশেছে । হুয়াংহো নদীর অববাহিকার অধিকাংশ অঞ্চল খুব শুষ্ক, বৃষ্টি কম, তাই কৃষি ও জনগণের জীবনযাত্রার ওপর বিরাট প্রভাব পড়েছে । ইতিহাসে চীনে অনেকবার ক্ষরা ঘটেছে, ফলে কয়েক কোটি লোক প্রাণ হারিয়েছেন । হুয়াংহো নদীতে ক্ষরা ছাড়াও বন্যা ও খুব ভয়াবহ । ইতিহাসে হুয়াংহো নদীতে বন্যা ঘটেছে প্রায় ১ হাজার ৫ শো ৯০ বার । তাছাড়া, হুয়াংহোকে নদীর মাটির ক্ষয়ও খুব গুরুতর । এর জন্যে হুয়াংহো নদী সবসময় বন্যা ঘটেছে । সেইজন্যে হুয়াংহো চীনের দুঃখও বলা হয় ।
|