v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-02-17 11:49:04    
চীনের মহা প্রাচীরের দৈর্ঘ্য কত? কোন সম্রাট নির্মান করেন এবং কেন?

cri
    প্রশ্নকর্তাঃ ভারতের আসামের বনগাইগাঁও এর মোজাবাড়ি গ্রামের মোঃ আব্দুল কাদের আলি, বাংলাদেশের খুলনা জেলার মোঃ আলরাফুজ্জামান, রাজশাহী জেলার শিবপুরহাটের তোনাপারা গ্রামের এম এ মান্নান, পাবনা জেলার নয়নামতি উত্তর পাড়ার ডি এক্স রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ ফিরোজ আলম, নাটোর জেলার ধরাইলের আলাদী গ্রামের উত্তরণ সি আর আই লিসনার্স ক্লাবের মোঃ মশিউর রহমান, ফেনী জেলার পাঁচগাছিয়ার উত্তর কাশিমপুরের কিশোর কান্তি দাস, জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ির ব্রাইটলাইফ ওয়াল্র্ড রেডিও ফ্যান ক্লাবের সভাপতি মোঃ সুরুজ্জামান তরফদার প্রমুখ ।

    উত্তরঃ  মহাপ্রাচীর নিয়ে গল্প করলে দশ মিনিট সময় বেশি নয়। সর্বপ্রথমে মহাপ্রাচীর তৈরী করা হয়েছে খৃষ্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে । বসন্ত-শরত আর যুদ্ধমান যুগে বিভিন্ন অধিরাজ্য উত্তরাঞ্চলের সংখ্যালঘু জাতি বা শত্রু দেশের সম্ভাব্য আক্রমণ ঠেকানোর জন্য মহাপ্রাচীর তৈরি করতে শুরু করে। সবচেয়ে আগের মহাপ্রাচীর দেখা দেয় ছু রাজ্যে। তার মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০০ কিলোমিটার। তা ভৌগোলিক অবস্থা অনুসারে বিন্যস্ত অনেকগুলো প্রতিরক্ষামূলক ছোট ছোট শহরকে নিয়ে গঠিত। ছি, ইয়েন, উয়ে, চাও, ছিন প্রভৃতি রাজ্যেরও যার যার মহাপ্রাচীর ছিল। এগুলো হুয়াংহো নদী ও ইয়াংশি নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। "দশ হাজার লি দীর্ঘ মহাপ্রাচীরের " নাম প্রথমে শোনা গিয়েছে, ছিং রাজ্যের প্রথম সম্রাট সি হুয়াংয়ের শাসনামলে। ছিং সি হুয়াং অন্য ছয়টি রাজ্যকে পরাভূত করে চীনকে একত্রিত করার পর উত্তরাঞ্চলের সুন নু জাতির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাতে সেনাপতি মংথিয়েনকে পাঠান, এবং বিভিন্ন রাজ্যের পুরোনো মহাপ্রাচীরকে একত্রিত করান। পশ্চিমে লিন চাও থেকে পূর্বে লিয়াও তুং পর্যন্ত প্রসারিত এবং দশ হাজার লি'রও বেশি দীর্ঘ এই ছিন রাজ্যের একত্রিত মহাপ্রাচীর হচ্ছে আমাদের আজকের মহাপ্রাচীরের বিস্তৃত উত্তরাংশ।

     ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে যুদ্ধমান যুগ থেকে বিশ বাইশটি অধিরাজ্য ও সামন্ততান্ত্রিক রাজবংশ মহাপ্রাচীর তৈরি করেছে। এর মধ্যে ছিন, হান ও মিং এই তিনটি রাজবংশে তৈরী মহাপ্রাচীরের দৈর্ঘ্য দশ হাজার লী ছাড়িয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যে তৈরী মহাপ্রাচীরকে একত্রিত করলে এর দৈর্ঘ্য হবে পঞ্চাশ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। মহাপ্রাচীর হচ্ছে চীনের প্রাচীনকালের একটি মহত্ প্রতিরক্ষামূলক স্থাপত্য প্রকল্প এবং চীনা জাতির প্রতীক। কয়েক হাজার বছরের ঝড়বৃষ্টির সাক্ষী মহাপ্রাচীর আজো দন্ডায়মান আছে।

    এখন পেইচিংয়ে যে মহাপ্রাচীরের ধ্বংসাবশেষ সংরক্ষিত আছে, তা হচ্ছে মিং রাজদের তৈরী। পাতালিং হচ্ছে বর্তমানে সবচেয়ে ভালোভাবে সংরক্ষিত মিন রাজবংশের মহাপ্রাচীরের একটি অংশের ধ্বংসাবশেষ।

    ভালোভাবে প্রাচীর সুরক্ষা করার জন্য ১৯৬১ সালে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদ পা দা লিং প্রাচীরকে চীনের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তি সংরক্ষণ সংস্থাবলে ঘোষণা করেছে। ২০০৩ সালের ১লা আগস্ট চীন প্রথম প্রাচীর সুরক্ষা সংক্রান্ত বিশেষ নিয়ম "বেইজিং শহরের প্রাচীর সুরক্ষা সংক্রান্ত নিয়মবিধি" আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকরী করেছে। তাতে স্পষ্টভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যে, প্রাচীর সুরক্ষা হচ্ছে সকল চীনা নাগরিকের কর্তব্য এবং বিভিন্ন শ্রেণীর সরকারের দায়িত্ব। এই নিয়মবিধিতে প্রাচীরের নিরাপত্তা এবং পরিবেশকে প্রভাবিত করে এমন স্থাপত্য ভবন স্থানান্তরিত করা, কঠোরভাবে প্রাচীরে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন অনুষ্ঠান তৈরি এবং বিরাটাকারের তত্পরতার আয়োজন নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানানো হয়েছে।