প্রশ্নকর্তাঃভারতের পশ্চিম বঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার কুটবাপুকুর গ্রামের মিলন চৌধুরী
উত্তরঃ চীনে মোট ৩৪টি প্রদেশ বা প্রদেশ পর্যায়ের প্রশাসনিক অঞ্চল আছে , এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ২৩টি প্রদেশ, ৫টি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল , চারটি কেন্দ্র-শাসিত মহানগর এবং দুটি বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল ।
তাইওয়ান হচ্ছে চীনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাইওয়ান চীনের মূলভূভাগের দক্ষিণ-পূর্বের একগুচ্ছ দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি দ্বীপ প্রদেশ। ১৯৪৯ সালের ১লা অক্টোবর চীনা জনগণ চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে কুও মিং ডাং পার্টি সরকারকে উত্খাত করে নয়া চীনের জন্ম ঘোষণা করেছেন। চীনের মূলভূভাগ মুক্ত হওয়ার আগে চিয়াং কাই-শেক এবং কুও মিং ডাং পার্টির আংশিক সামরিক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিরা তাইওয়ানে পালিয়ে যান এবং যুক্তরাষ্ট্রের আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে তাইওয়ান শাসন করেন , ফলে তাইওয়ান আর চীনের মূলভূভাগের মধ্যে আবার বিচ্ছিন্ন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
১৯৭১ সালের অক্টোবর , ২৬তম জাতি সংঘ সাধারণ সম্মেলনে গৃহীত ২৭৫৮ নং সিদ্ধান্তে চীন গণ-প্রজাতন্ত্র জাতি সংঘের যাবতীয় বৈধ অধিকার ফিরে পায় এবং তাইওয়ান কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি বহিষ্কৃত হয়। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিক্সোন চীন সফরকালে শাংহাইয়ে চীন -মার্কিন সংযুক্ত ইস্তাহার প্রকাশ করেন । ইস্তাহারে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, মার্কিন পক্ষ ঘোষণা করে যে, যুক্তরাষ্ট্র উপলব্ধি করেছে, তাইওয়ান প্রণালীর দু পারের সকল চীনারা মনে করেন , কেবল একটাই চীন আছে, তাইওয়ান হচ্ছে চীনের এক অংশ। মার্কিন সরকারের এই অধিষ্ঠানে কোনো অস্পষ্টতা নেই।
চীন সরকারের তাইওয়ান সমস্যা সমাধানের মৌলিক নীতি হচ্ছে শান্তিপুর্ণরুপে পুনরেকীকরণ করা, এবং এক দেশ দুই সমাজ ব্যবস্থার নীতি বাস্তবায়ন করা। প্রণালীর দু' পারের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে চীনের পুনরেকীকরণ বাস্তবায়নের আগে চীন সরকার রাষ্ট্রের শান্তিপুর্ণ ঐক্যের জন্য শর্ত সৃষ্টির কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। সে গুলো হচ্ছেঃ দু পক্ষ পারস্পারিক সম্মান প্রদর্শনের ভিত্তিতে পারস্পরিক উপকারিতামূলক নীতি অনুসারে সক্রিয়ভাবে দু তীরের অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রের আদান-প্রদান ত্বরান্বিত করবে আর সরাসরি বাণিজ্যিক আদান-প্রদান, ডাক যোগাযোগ ও বিমান চলাচলের ব্যবস্থা এবং পরস্পরের বিনিময় চালু করা সমর্থন করবে।
|