ভাষা দিক থেকে চীনের স্থান কত?
প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের খুলনা জেলার ইসলামপুর রোর্ডের মোঃ মনির হোসেন
উত্তরঃচীনা ভাষা হচ্ছে চীনের বিভিন্ন জাতির অভিন্ন ভাষা, চীনের কয়েক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সংস্কৃতি বহন করে, এখন দেশে-বিদেশে মোট ১৩০ কোটিরও বেশি লোক মাতৃভাষা হিসেবে চীনা ভাষা বলেন, এই সংখ্যা বিশ্বের প্রথম স্থানে রয়েছে। এবং চীনা ভাষা জাতি সংঘের ছ'টি আনুষ্ঠানিক ভাষার অন্যতম।
চীনের অর্থনীতির দ্রুত উন্নয়ন এবং বৈদেশিক আদান-প্রদান দিন-দিন নিবিড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চীনা ভাষার আন্তর্জাতিক মর্যাদাও ক্রমে ক্রমে উন্নতি হচ্ছে। যদিও অনেকে মনে করেন , চীনা ভাষা হচ্ছে পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন ভাষার অন্যতম, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনা ভাষার শিক্ষার্থীর সংখ্যা নিরন্তরভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বর্তমানে মোট ৮৫টি দেশের ২১০০টিরও বেশি বিদ্যালয়ে চীনা ভাষা কোর্স চালু আছে, এবং অসংখ্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল এবং সামাজিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চীনা ভাষা শেখানোর ব্যবস্থাআছে, চীনা ভাষার বিদেশী শিক্ষার্থীদের মোট সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি। চীন সরকার ৬২টি দেশে চীনা ভাষার শিক্ষক পাঠায়।
এখন চীনা ভাষা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বড় ভাষা এবং অষ্ট্রেলিয়া ও ক্যানাডার দ্বিতীয় বড় ভাষায় পরিণত হয়েছে। জাপানের ৯৫ শতাংশেরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষাকে প্রধান দ্বিতীয় বিদেশী ভাষা হিসেবে গন্য করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনা ভাষা শেখার ছাত্রছাত্রী কয়েক লক্ষ আছেন। বিদেশীদের চীনা ভাষার মান পরিক্ষা করার জন্য ১৯৯১ সাল থেকে চীন বিদেশীদের চীনা ভাষার মান পরিক্ষা প্রতিষ্ঠা করেছে। গত বছরের শেষ দিক পর্যন্ত এই পরিক্ষা চীনের বাইরে ৩৫টি দেশের ৮৭টি শহরে চালু হয়েছে, মোট ৩ লক্ষ ৩০ হাজারেরও বেশি বিদেশী এই পরিক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
চীন সর্বপ্রথম কোন দেশের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে এবং কত সালে?
প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের বগুড়া জেলার শিবগঞ্জের গ্লোবাল রেডিও ফ্যান ক্লাবের সভাপতি মোঃ মাহমুদুল হাসান (সবুজ)
উত্তরঃসোভিয়েট ইউনিয়ন সর্বপ্রথম নয়া চীনকে স্বীকৃতি দেয় এবং ১৯৪৯ সালের ২রা অক্টোবর চীনের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে। সোভিয়েট ইউনিয়নে নিয়োজিত চীনের প্রথম রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন ওয়াং চিয়াং শিয়াং।
চীনের ১২ তরুনীর ব্যান্ডের যন্ত্র শিল্পীদের পরিচয়।
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের মহাঃ ইসমাইল হোসেন
উত্তরঃ কেন না ১২ জন সুন্দরী তরুনী শিল্পী নিয়ে গঠিত এই ব্যান্ডএর বিশেষ কারণ আছে। ১২ এই সংখ্যা চীনে এক বিশেষ দার্শনিক সংখ্যা। তাই অনেক জিনিষ ১২ নিয়ে গঠিত হলে সন্তোষজনক বলে প্রতিফলিত হয়। এই ব্যান্ডের ১২জন শিল্পী পৃথক পৃথকভাবে চীনের সংগীত ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রীয় সংগীত ইনস্টিটিউট, কেন্দ্রীয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, মুক্তি ফৌজ শিল্প একাডেমী প্রভৃতি পেশাদার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাস করেছেন, এবং কঠোর পরিক্ষা পার হয়ে এই ব্যান্ডে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁরা ৬, ৭ বছর বয়স থেকে বাদ্যযন্ত্র শিখতে শুরু করেন, সবাই নানা বাদ্যযন্ত্র প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছিলেন। তাঁরা কেবল কু চেন, পি পা, এর হু, ইয়াং ছিং নামক চীনের বিখ্যাত ঐতিহ্যিক বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন তা নয়, বরং এক তারা, থু লিয়াং, জুই ছিন ছিং নামক অপরিচিত বাদ্যযন্ত্রও বাজাতে পারেন।
২০০৩ সালের ২৪শে জুলাই জাপানে এই ব্যান্ডের প্রথম সিডি প্রকাশিত হয়। এখন পর্যন্ত তাঁদের ১৮ লক্ষটি সিডি বিক্রী হওয়ায় এক বিস্ময় সৃষ্টি হয়েছে। তাঁদের সাফল্য চীনা জাতি এবং চীনের জাতীয় সংগীতের জন্য বিরাট গৌরব অর্জন করেছে। তাঁদের বাজানো নতুন ধরনের জাতীয় সংগীত চীনের ঐতিহ্যিক সংগীত এবং আধুনিক পপ সংগীতকে ভালোভাবে মিশিয়ে এক আধুনিক এবং গভীর প্রাচ্য বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন পবিত্র সংগীত সৃষ্টি করেছেন। তাই খুব শীঘ্রই জনপ্রিয় হয়ে সারা বিশ্বে নাম ছড়িয়েছে।
চীনের ক্ষুদ্রতম শহর কোনটি?
প্রশ্নকর্তাঃ বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলার বাবুপারার ড্রাম ওয়েভ অডিয়ান্স ক্লাবের রফিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম এবং আশরাফুল
উত্তরঃজনসংখ্যার দিক থেকে চীনের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের আলি এলাকায় জনসংখ্যা সবচেয়ে কম, এই অঞ্চল ভারত, নেপাল, কাশ্মীর অঞ্চল এবং চীনের সিয়াং চিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সঙ্গে সংলগ্ন, এর আয়তন প্রায় ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার , জনসংখ্যা কেবল ৮০ হাজার, তাই তা হচ্ছে পৃথিবীতে জনসংখ্যার ঘনত্ব সবচেয়ে কম। আর আয়তনের দিক থেকে আনহুই প্রদেশের দক্ষিণাংশের তুং লিং হচ্ছে চীনের সবচেয়ে ক্ষুদ্র শহর। এই শহরের আয়তন ১১১৩ বর্গ কিলোমিটার।
২০০৪ সালের অলিম্পিক গেমসে চীনা প্রতিনিধি দলের সদস্য সংখ্যা কত জন ছিলো?
প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলার সুলতানশাহীর ঘোড়াদাইড় গ্রামের লিপন স্মৃতি রেডিও লিসনার্স ক্লাবের সভাপতি বি এম ফয়সাল আহমেদ
উত্তরঃ ২০০৪ সালের অলিম্পিক গেমসে চীনের প্রতিনিধি দলের সদস্যের সংখ্যা ৬৩৩, এর মধ্যে পুরুষ খেলোয়াড় ১৩৮ জন, নারী খেলোয়াড় ২৬৯ জন, তাঁরা আলাদা আলাদাভাবে চীনের ২৭টি প্রদেশ এবং ক্রিড়া সমিতি থেকে এসেছেন। তাঁদের গড়পরতা বয়স ২৩.৩ বছর। সবচেয়ে বৃদ্ধ খেলোয়াড় হলেন ৪৩ বছর বয়স্ক শুটার ওয়াং ই ফু, তিনি এই ষষ্ঠ বার অলিম্পিক গেমসে অংশ নিলেন। সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হলেন ১৪ বছর বয়স্ক সাঁত্তারু চাং টিয়ান ই। এই বার অলিম্পিক গেমসে চীনের ক্রিড়া প্রতিনিধি দল মোট ৩২টি স্বর্ণ পদক অর্জন করেছেন।
|