|
সিআরআই অনলাইনের উদ্যোগে চীনের শহর তালিকা-২০১১ নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে এখন। এ উপলক্ষে সম্প্রতি সি আর আই বাংলা বিভাগের সাংবাদিক আকাশ পেইচিংয়ে বাংলাদেশ দুতাবাসের দ্বিতীয় সচিব এ টি এম আবদুর রউফকে এক সাক্ষাত্কার নেন। তিনি চীনের সাংস্কৃতিক শহর সম্পর্কে তাঁর অভিমত ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার সংস্কৃতিও তুলে ধরেন।
রউফ মনে করেন, "একটি সাংস্কৃতিক নগরীর মান নির্ভর করে ওই নগরীর ভৌগলিক অবস্থান, রাজনৈতিক ইতিহাস এবং সর্বোপরি ওই শহরে বসবাসকারী নাগরিকদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জীবনযাত্রা, তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস, শহরের ইতিহাস-ঐতিহ্য সংরক্ষণকারী স্থাপনাগুলো এবং পর্যটকদের জন্য দেওয়া সুযোগ-সুবিধার ওপর।"
রউফ চীনে তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে বাস করছেন। তাঁর চোখে চীনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক নগরী হচ্ছে পেইচিং। তিনি বলেছেন, পেইচিং শহর বড় বড় উদ্যান ও রাজপ্রাসাদের জন্য বিখ্যাত। পেইচিংয়ে নিষিদ্ধ নগরী হচ্ছে সবচেয়ে হৃদয়গ্রাহী স্থান।
এর পাশাপাশি রউফ চীনের বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি বলেন, "বাঙ্গালির ইতিহাস-ঐতিহ্য হাজার বছরের। আর এ ঐতিহ্যের ধারক বাংলা ভাষা। এ ভাষার মর্যাদা রক্ষায় ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলার দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে, রাজপথ রাঙিয়ে মায়ের মুখের ভাষা বাংলাকে রক্ষা করেছে। এ শহীদের স্মৃতি রক্ষায় ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। ঢাকা শহর অতি পুরাতন শহর। এখানে রয়েছে অনেক পুরাকীর্তি। যেমন লালবাগ কেল্লা, আহসান মঞ্জিল, ছোট কাটরা, বড় কাটরা ও বলধা গার্ডেন। ঢাকা শহরে বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষ বাস করে। এবং সারা বছরই ঢাকা শহর কোনো না কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মুখর থাকে।"
রইফ আরো বলেন, সি আর আই অনলাইনের উদ্যোগে চীনের শহর তালিকা-২০১১ একটি মহত্ উদ্যোগ। এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তের যে কোনো নেট-নাগরিক চীনের অনেকগুলো শহর সম্পর্কে, সেগুলোর সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারেন এবং তাদের পছন্দের শহরের পক্ষে ভোট দিতে পারেন। (আকাশ)
প্রশ্ন-১: একটি সাংস্কৃতিক নগরীর কী কী বৈশিষ্ট্য থাকা উচিত বলে আপনি মনে করেন?
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |