যে সব আন্তর্জাতিক চুক্তিতে চীন যোগ দিয়েছে

 

       আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণ-ব্রতের প্রতি সক্রীয়ভাবে দায়িত্ব গ্রহণের মনোভাব নিয়ে চীন পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণের ৩০টিরও বেশী আন্তর্জাতিক চুক্তিতে অংশ নিয়েছে । এই সব আন্তর্জাতিক চুক্তির নাম হলো: 

“সমুদ্রে তেলজনিত দূষণ প্রতিরোধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি”(১৯৫৪ ,লণ্ডন) 

“মত্স্য শিকার ও আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় প্রাণী ও উদ্ভিদ সম্পদ সংরক্ষণ চুক্তি”(১৯৫৮, জেনিভা) 

“আন্তর্জাতিক তিমি শিকার নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত চুক্তি”(১৯৪৬,ওয়াশিংটন) 

“দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলের উদ্ভিদ সংরক্ষণ চুক্তি”(১৯৫৬, রোম) 

“মহাদেশীয় মহীসোপান চুক্তি”(১৯৫৮, জেনিভা) 

“দক্ষিণমেরু চুক্তি” (১৯৫৯, ওয়াশিংটন) 

“ বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা চুক্তি”(১৯৪৭,ওয়াশিংটন) 

“আন্তর্জাতিক তেলজনিত দূষণের ক্ষতি সংক্রান্ত দেওয়ানী দায়িত্ব চুক্তি”(১৯৬৯ , ব্রাসেল্স) 

“ বিশ্ব সংস্কৃতি ও প্রকৃতির উত্তরাধিকার সংরক্ষণ চুক্তি”(১৯৭২, প্যারিস) 

“ চাঁদ ও নক্ষত্রের গতিবিধি সহ মহাশূন্য অনুসন্ধান ও ব্যবহারে অনুসরণীয় মূলনীতি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি”(১৯৭২, মস্কো) 

“আবর্জনা ও অন্যান্য পদার্থ বর্জন-জনিত সামুদ্রিক দূষণ প্রতিরোধ চুক্তি”(১৯৭২, লণ্ডন) 

“ জীবাণু (জীববিদ্যাগত) ও বিষাক্ত অস্ত্র উন্নয়ন, উত্পাদন ও গুদামজাতকরণ নিষিদ্ধকরণ এবং এই রকম অস্ত্র ধ্বংসসাধন চুক্তি”(১৯৭২, লণ্ডন) 

“ তেল ছাড়া অন্যান্য পদার্থ-জনিত সামুদ্রিক দূষণ সংঘটনকালে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত প্রটোকল”(১৯৭৩, লণ্ডন) 

“জাহাজ-জনিত দূষণ প্রতিরোধ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তি”(১৯৭৮, লণ্ডন) 

“পারমাণবিক পদার্থ ও উপকরণ সংরক্ষণ চুক্তি”(১৯৭৯, ভিয়েনা) 

“ওজোন-স্তর সংরক্ষণ ভিয়েনা চুক্তি”(১৯৮৫, ভিয়েনা) 

“ পারমাণবিক দুর্ঘটনা বা তেজস্ক্রিয় দুর্ঘটনার জরুরী অবস্থায় সাহায্য চুক্তি”(১৯৮৫, ভিয়েনা) 

“পারমাণবিক দুর্ঘটনার যথাশীঘ্র তথ্যজ্ঞাপন চুক্তি”(১৯৮৬, ভিয়েনা) 

“ ওজোন -স্তরের ক্ষতিসাধনকারী পদার্থ সংক্রান্ত মণ্ট্রিল প্রটোকল”(১৯৮৭, মণ্ট্রিল) 

“এশিয়া ও প্রশান্তমহাসাগরীয় জলজ দ্রব্য চাষ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় নেটওয়ার্ক”(১৯৮৮, ব্যাংকক) 

“ বিপদজনক আবর্জনা সীমান্ত-পার স্থানান্তরিতকরণ নিয়ন্ত্রণ ও মোকাবিলা বাসেল চুক্তি”(১৯৮৯, বাসেল) 

“জাতিসংঘের আবহাওয়া পরিবর্তন সংক্রান্ত কাঠামো চুক্তি”(১৯৯২, রিও দে জেনেইরো ) 

“প্রাণী ও উদ্ভিদের বৈচিত্র্য চুক্তি” (১৯৯২, রিও দে জেনেইরো ) 

“চীন গণপ্রজাতন্ত্র সরকার ও সোভিয়েত ইউনিয়নের বনসম্পদ সংরক্ষণ ও অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধের যৌথ কার্যক্রম চুক্তি”( ১৯৮০ সালে স্বাক্ষরিত) 

“ চীন গণ প্রজাতন্ত্র সরকার ও জাপান সরকারের যাযাবর পাখি ও তার আশ্রয়স্থলের পরিবেশ সংরক্ষণ চুক্তি”( ১৯৮১সালে স্বাক্ষরিত) 

“ চীন গণ প্রজাতন্ত্র সরকার ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের যাযাবর পাখি ও তার আশ্রয়স্থলের পরিবেশ সংরক্ষণ চুক্তি”( ১৯৮৬ সালে স্বাক্ষরিত) 

চীন গণ প্রজাতন্ত্র ও পাকিস্তান ইসলামী প্রজাতন্ত্রের পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের সহযোগিতা চুক্তি”( ১৯৮৬ সালে স্বাক্ষরিত) 

তা’ছাড়া চীন সক্রীয়ভাবে আন্তর্জাতিক পরিবেশ ও সম্পদ সংরক্ষণ সংক্রান্ত অনেক গুরুত্বপূর্ণ দলিলকে সমর্থন করে এবং এই সব দলিলের মর্মকে চীনের আইন ও নীতির অন্তর্ভুক্ত করে । এই সব দলিলের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে: ১৯৭২ সালে সুইডেনের স্টকহল্মে প্রকাশিত “জাতিসংঘের মানব পরিবেশ ঘোষণা”, ১৯৮০ সালে বিশ্বের বহু দেশে একই সময়ে প্রকাশিত “ বিশ্বের প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ কর্মসূচি”, ১৯৮২ সালে কেনিয়ার নাইরোবিতে প্রকাশিত “নাইরোবি ঘোষণা” এবং ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও দে জেনেইরোতে প্রকাশিত” পরিবেশ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত রিও দে জেনেইরো ঘোষণা” ইত্যাদি।