দূষণের সংস্কার


       চলতি বছরগুলোতে চীন সরকার দূষণ সংস্কারের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ধার্য করেছে, নদীর অববাহিকার পানি দূষণ সংস্কারের পরিকল্পনা ,ব্যবস্থাপনার নীতি এবং দূষিত পদার্থ নিঃসরণের মোট পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করেছে। ২০০২ সালের শেষ নাগাদ সরকার ইয়াংসি নদীর তিন-গিরিখাত প্রকল্পাধীন জলাধার ও বাঁধ এলাকার পরিবেশ সংরক্ষণে ৪০ বিলিয়ন ইউয়ানেরও বেশী পুঁজি বিনিয়োগ করেছে। ২০০১ সালে তিন-গিরিখাত জলাধার এলাকার গুরুতর দূষণসৃষ্টিকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৭টি কমানো হয়েছে, জলাধার এলাকার ভেতরকার ৬০টি গুরুতর দূষণসৃষ্টিকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান দূষিত পানি নিঃসরণের পরিমাণ এর আগের বছরের তুলনায় ১৫.৬ শতাংশ কমানো হয়েছে; সব ধরনের দূষিত পদার্থ নিঃসরণের মোট পরিমাণ ৮ হাজার টন, এর মধ্যে রাসায়নিক শিল্পের দূষিত পদার্থ নিঃসরণের পরিমাণ ৪৮.৩ শতাংশ কমানো হয়েছে । গুরুতরভাবে দূষিত থাইহু হ্রদ অববাহিকা সংস্কার শুরু হয় ২০০২ সালে। সেটা করা হয় এভাবে : ইয়াংসি নদী থেকে পরিষ্কার পানি পাঠানো হয় এই ৩৬ হাজার ৯ শো বর্গকিলোমিটার আয়তনবিশিষ্ট বিরাট মিঠা পানির হ্রদটিতে। এই বিরাট প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার ফলে থাইহু হ্রদ অববাহিকার পানির পরিবেশের সুস্পষ্ট উন্নতি হয়েছে, পানির মধ্যে প্রধান দুষণসৃষ্টিকারী পদার্থ ফসফরাস ,নাইট্রোজেন আর পার্মাংগনেট -জাতীয় রাসায়নিক পদার্থের মাত্রা চার বছর আগের চেয়ে যথাক্রমে ৫৯%, ২৫% এবং ৯% কমানো হয়েছে । সাংহাই প্রভৃতি শহরের পানি সরবরাহের উত্স হলো থাইহু হ্রদ,এই সব শহরের কলের পানির গুণগত মানের সুস্পষ্ট উন্নতি হয়েছে, এতে প্রায় এক কোটি মানুষের উপকার হয়েছে। 

একই সময়ে সারা দেশ জুড়ে ব্যাপকভাবে বায়ুমণ্ডলের বায়ুর গুণমানের তত্ত্বাবধান, পরীক্ষা ও সংস্কার চালানো হয়েছে । ২০০২ সালে সারা দেশর শহরাঞ্চলের বায়ুর গুণগত মানের অব্যাহত উন্নতি হয়েছে । পরিবেশ সংরক্ষণ বিভাগের তত্ত্বাবধানের অধীনে ৩৩৯টি শহরের মধ্যে ১১৭টি শহরের বায়ুর গুণগত মান রাষ্ট্রীয় মানদণ্ডের দ্বিতীয় শ্রেণীভুক্ত হয়েছে । তার মধ্যে হাইখৌ, সানইয়া, চাওছিং প্রভৃতি ১০টি শহরের বায়ুর গুণমান প্রথম শ্রেণীতে পৌঁছেছে। পেইচিংয়ের বায়ুর সংস্কারে লক্ষণীয় সাফল্য পাওয়া গেছে , ২০০২ সালে পেইচিং শহরের বায়ুর গুণমান ২০১ দিনে দ্বিতীয় বা প্রথম শ্রেণীভুক্ত ছিল, তার আগের বছরের চেয়ে এই পরিমাণ ১৯ দিন বেড়েছে। সারা দেশের বেশির ভাগ শহরে মটরগাড়ির নিঃসৃত গ্যাসের গুণমান ইউরোপের এক নম্বর মানদণ্ডে পৌছেছে, পেইচিং প্রভৃতি বড় বড় শহরে ইতিমধ্যেই ইউরোপের দুই নম্বর উচ্চতর মানদণ্ড প্রবর্তিত হয়েছে।