বহু দেশের মতো চীনের কোনো কোনো বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার স্বতন্ত্র আর বাকীগুলো উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের অধীনস্থ । বর্তমানে চীনের স্বতন্ত্র বৈজ্ঞানিক গবেষণাগারের অর্থের প্রধান উত্স সরকারী অর্থ বরাদ্দ । চীনে মোট দু’ হাজারেরও বেশি স্বতন্ত্র বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার আছে । এর মধ্যে ৫ শো হচ্ছে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের । উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের অধীনস্থ বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার আরো বেশি আছে ।
চিনের বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার প্রধানতঃ বুনিয়াদি , প্রায়োগিক আর গণ কল্যাণ এই তিন অংশে বিভক্ত করা হয় । বুনিয়াদি বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার হচ্ছে প্রধানতঃ চীনের বিজ্ঞান একাডেমী আর উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধীনস্থ সংশ্লিষ্ট গবেষণাগার । বেশির ভাগ প্রায়োগিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার চীনের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের পরিচালনায় ছিল । এখন তারা হাইটেক শিল্প প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত হয়েছে । যেমন চীনের অলৌহ ধাতু গবেষণাগার , চীনের ডাক ও টেলি-যোগাযোগ বিজ্ঞান গবেষণাগার , চীনের স্থাপত্য ডিজাইন গবেষণাগার ইত্যাদি । গণ কল্যাণ গবেষণাগার হচ্ছে কৃষি , আবহাওয়া পূর্বাভাস প্রভৃতি ক্ষেত্রে গবেষণায় নিয়োজিত আর ফলপ্রসূতা সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠান । যেমন , চীনের কৃষি বিজ্ঞান একাডেমী , চীনের আবহাওয়া বিজ্ঞান গবেষণাগার ইত্যাদি ।
চীনের বিজ্ঞান একাডেমী চীনের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ ও বৃহত্তম বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার। পেইচিংয়ে স্থাপিত এই একাডেমীর সদর দফতর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৯ সালে । চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর গবেষণার ক্ষেত্রে প্রকৃতি বিজ্ঞান আর হাইটেক অন্তর্ভুক্ত । একাডেমীতে অংকবিদ্যা ও পদার্থ বিদ্যা , রসায়ন , জীব ও উদ্ভিদ বিদ্যা , ভূতত্ত্ব , প্রযুক্তি বিজ্ঞান এই ৫টি বিভাগ আছে । তা ছাড়া বিভিন্ন অঞ্চলে একাডেমীর ১১টি শাখা আর ৮৪টি গবেষণাগারে প্রায় ২ হাজার গবেষক গবেষণায় নিয়োজিত থাকেন । চীনের বিজ্ঞান একাডেমীতে বিপুলসংখক চীনের সর্বোচ্চ মানসম্পন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা কর্মী আছেন । তার বেশির ভাগ গবেষণাগার সমগ্র দেশের একই ক্ষেত্রের শীর্ষ মানে রয়েছে । এদের মধ্যে কোনো কোনো গবেষণাগার পৃথিবীতে ব্যাপক মর্যাদা পেয়েছে ।
|