চীনের রাষ্ট্র-পর্যায়ের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন পরিকল্পনা

বুনিয়াদি গবেষণার পরিকল্পনা :
    বুনিয়াদি গবেষণার ক্ষেত্রে চীনের রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা হলঃ দেশের প্রধান বুনিয়াদি গবেষণা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা । যেহেতু তা ১৯৯৭ সালের মার্চ মাস থেকে প্রবর্তন শুরু হয় , সেহেতু তাকে ৯৭৩ পরিকল্পনা বলা হয় ।

    এই পরিকল্পনার প্রধান প্রধান গবেষণার ক্ষেত্রে কৃষি , তথ্য , শক্তি সম্পদ ও পরিবেশ , জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্য আর উপকরণ ইত্যাদি ক্ষেত্র এবং জাতীয় অর্থনীতি , সমাজের উন্নয়ন আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নয়ন প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক বিষয় অন্তর্ভুক্ত । এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, বহু বিষয়ের সার্বিক গবেষণা চালানো হবে এবং সমস্যা সমাধানের জন্য তাত্ত্বিক যুক্তি আর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি যুগানো হবে ।

    গত কয়েক বছরে চীন সরকার এইপরিকল্পনার জন্যকয়েক বিলিয়ন ইউয়ানরেন মিন পির অর্থ বরাদ্দ করেছে ।ফলে ৩ শতাধিক প্রকল্প চালু হয়েছে । বর্তমানেযে সব প্রকল্প আগে থেকেই চালু হয়েছে, সে সবপ্রকল্পেবেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিকগবেষণার সুফল অর্জিত হয়েছে । পৃথিবীতে চীনের বিজ্ঞানীরানানোমিটারবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি , জেন , মস্তিষ্ক বিজ্ঞান, প্রাচীন প্রাণী ও উদ্ভিদ বিদ্যা প্রভৃতি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য গবেষণারসাফল্য অর্জন করেছেন ।যেমন২০০২ সালেচীনের বিজ্ঞানীরাধানেরজেনের গবেষণার ভিত্তিতেগতবছর ধানেরফলপ্রসূতার জেনক্লন্ করেছেন ।

হাই-টেক প্রযুক্তি গবেষণার পরিকল্পনা
    চীনে হাই-টেক প্রযুক্তিতে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনারনাম হলঃদেশের হাই-টেক গবেষণা ও উন্নয়ন পরিকল্পনা । যেহেতু ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসেচীনের ৪জন প্রসিদ্ধ বিজ্ঞানী এই পরিকল্পনা পেশ করেছেন , সেহেতু তাকে ৮৬৩ পরিকল্পনাও বলা হয়।

    ৮৬৩ পরিকল্পনায় বিশ্ব হাই-টেক বিকাশের প্রবণতা আরচীনেরচাহিদা ও সামর্থ্যের দিক থেকেপ্রাণী ও উদ্ভিদেরপ্রযুক্তি , মহাকাশ প্রযুক্তি , তথ্য প্রযুক্তি , লেজার প্রযুক্তি , স্বয়ংক্রিয়করণ প্রযুক্তি , শক্তি সম্পদ প্রযুক্তি আর নতুন উপকরণ প্রযুক্তি এই ৭টি ক্ষেত্রের ১৫টি বিষয়কে গবেষণা আর উন্নয়নেরপ্রধান বিষয় বলে ধার্য করা হয়েছে ।

    ৮৬৩ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমেচীনে ধাপে ধাপে চীনের বাস্তব অবস্থার সংগেখাপ খাওয়া হাই-টেক গবেষণা ও উন্নয়নের রণনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে,হাই-টেক গবেষণা ও উন্নয়নেরসাধারণ বিন্যাস সম্পন্ন হয়েছে,হাইটেক গবেষণা ও হাইটেক পণ্য উন্নয়নেরবেশ কয়েকটি ঘাঁটি গড়ে তোলা হয়েছে ,হাইটেকেরনতুন প্রজন্মের প্রকৌশলীদেরপ্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে ,আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বেশ কিছু সুফল অর্জিত হয়েছে , বিপুল সংখ্যক গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি সমস্যা নিষ্পত্তি করা হয়েছে,চীনেরহাইটেক গবেষণা আরউন্নয়নের মান ব্যাপকভাবে উন্নত হয়েছে আরচীনেরবৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত শক্তি জোরদার হয়েছে । গত বছরচীনে সাফল্যের সংগে “ফাংচৌ” আর “লুংসিং” নামেছিপ্তৈরী হয়েছে ।বিশ্বেরপ্রথম ৫ শোশক্তিশালী কম্পিউটার কোম্পানির মধ্যে চীনের লেনোভো কোম্পানির ৬৮০০ সুপার কম্পিউটারের স্থান পঞ্চম ।

কৃষি বিজ্ঞান আরপ্রযুক্তি পরিকল্পনা  
   চীনের কৃষি বিষয়ক বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি পরিকল্পনার নামঃ অগ্নিস্ফুলিঙ্গনামেপরিকল্পনা । চীনেরএকটি প্রবাদে বলা হয়েছে , অগ্নিস্ফুলিঙ্গের স্পর্শে দাবানল সৃষ্টি হয় ।এতে এই আশা প্রকাশ করা হয়েছে যে ,কৃষি বিষয়ক বিজ্ঞান আরপ্রযুক্তি অগ্নিস্ফুলিঙ্গেরমতোসমগ্র চীনেবিস্তৃত হবে ।

    অগ্নিস্ফুলিঙ্গ পরিকল্পনা ১৯৮৬ সালেঅনুমোদিত হয ।এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ,উন্নতআরব্যবহার্যকৃষি বিজ্ঞান আরপ্রযুক্তি উন্নয়ন করা হবে , এই সব প্রযুক্তি গ্রামাঞ্চলে কাজে লাগিয়েবিজ্ঞান আর প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে গ্রামীণ অর্থনীতি বিকশিত করতে কোটি কোটি কৃষককে সাহায্য করা হবে,গ্রামীণ শিল্প প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক আরপ্রযুক্তিগত অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা হবে,গ্রামীণ শ্রমজীবিদেরউত্কৃষ্টতা উন্নত করতে ত্বরান্বিত করা হবে এবংকৃষি আরগ্রামীণ অর্থনীতির টেকসই , দ্রুত ও সুষ্ঠু বিকাশ ত্বরান্বিত করা হবে ।

   অগ্নিস্ফুলিঙ্গ পরিকল্পনাপ্রবর্তিতহবার পরবর্তী দশাধিক বছরেচীনের বিজ্ঞানীরাবিপুল সংখ্যক কৃষি বিজ্ঞান আর প্রযুক্তি গবেষণা করেছেন , উচ্চফলনশীল , উত্কৃষ্ট আর ফলপ্রসূ কৃষি বিকশিত করেছেন , গ্রামাঞ্চলের পরিসেবা ব্যবস্থার নির্মাণকাজ আর গ্রামাঞ্চলেরঅর্থনীতিরবিকাশ ত্বরান্বিত করেছেন , উন্নত ও ব্যবহার্য প্রযুক্তিপ্রয়োগকারীআরগ্রামীণ শক্তি সম্পদ কাজে লাগানোবেশ কিছু আদর্শ শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেগ্রামীণ শিল্প আরশিল্প প্রতিষ্ঠানের পণ্যকাঠামোর পুনর্বিন্যাসের জন্য একটিদৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এবংবেশ কিছুগ্রামীণ প্রকৌশলী , ব্যবস্থাপক আর কৃষক শিল্পপতি লালন পালন করেছেন । ২০০৩ সালেচীনের বিজ্ঞানীরা ৩ শোরও বেশি ফসলের নতুন সংখ্যাপ্রকার বীজউদ্ভাবন করেছেন । এই সবনতুন বৈচিত্র্যসংখ্যা বীজ ১ কোটিরও বেশি হেক্টর জমিতে বপন করা হয়েছে। তারানতুন জলসেচ পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন । ফলেএই নতুন পদ্ধতি ব্যবহারেশতকরা ৩০ ভাগেরও বেশি জল সম্পদ বাঁচানো হয়েছে ।

    অগ্নিস্ফুলিঙ্গ পরিকল্পনার বাস্তবায়নেগ্রামাঞ্চলেরউত্পাদনেরআধুনিকায়নের বিকাশ ত্বরান্বিত করা হয়েছে , কৃষকদের আয়বৃদ্ধি পেয়েছে ।কৃষকরা বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিই সম্পত্তি বলেমনে করেন । বহু বিদেশী বন্ধু এই পরিকল্পনা চীনের কৃষকদেরসমৃদ্ধির পরিকল্পনা বলেআখ্যায়িত করেন ।
  
হাইটেকের সুফল জনপ্রিয় করে তোলার পরিকল্পনা
    চীনে হাইটেকের সুফল জনপ্রিয় করে তোলারপরিকল্পনাকে “মশাল পরিকল্পনা” বলেবলা হয় ।এই পরিপল্পনা এমন একটি পরিকল্পনা , যার মাধ্যমেচীনেরহাইটেকের বিকাশ পরিচালনা করাহয় । এইপরিকল্পনা অনুযায়ী ,চীনের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত শক্তির প্রাধান্য ও অন্তর্নিহিত শক্তি সম্প্রসারিত করা হবেএবংবাজারকে কেন্দ্র করে’ হাইটেকপণ্যে রূপান্তর , হাইটেক শিল্পায়নে রূপান্তর আর হাইটেক আন্তর্জাতিকায়নে রূপান্তর ত্বরান্বিত করা হবে । এই পরিকল্পনা ১৯৮৮ সাল থেকে প্রবর্তিত হয় ।তার উন্নয়নেরপ্রধান প্রধানক্ষেত্র হলঃইলেকট্রোনিকস্ ও তথ্য , প্রাণী ও উদ্ভিদ প্রযুক্তি , নতুন উপকরণ , নতুন শক্তি সম্পদ , উচ্চ ফলপ্রসূ উপায়ে শক্তি সম্পদ বাঁচানো , পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি ।

    বর্তমানেচীনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫৩টি রাষ্ট্র পর্যায়ের হাইটেক উন্নয়নঅঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।১৯৯১ সার থেকে এ পর্যন্তএই সব অঞ্চলেপ্রধান প্রধান লক্ষ্যমাত্রাবছরে৪০ শতাংশ হারেবাড়ছে । এই সব অঞ্চলচীনের হাইটেক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা আর জাতীয় অর্থনীতিরকাঠামো উন্নত করার গুরুত্বপূর্ণ শক্তিতে পরিণত হয়েছে ।

    গত বছর এই ৫৩টি হাইটেক অঞ্চলের আয় ২ ট্রিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে গেছে । এর মধ্যেপেইচিং চুংকুয়ানছুন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্যান আর শাংহাইহাইটেক অঞ্চলের আয় আলাদা আলাদাভাবেদেড় শো বিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়ে গেছে ।এই দুটো অঞ্চল প্রসিদ্ধ চীনের সিলিকন ভেলিতে পরিণত হয়েছে ।হাইটেক অঞ্চলগুলোতেবিপুলসংখ্যক হাইটেক শিল্প প্রতিষ্ঠানও নির্মাণ করা হয়েছে ।চীনেরনামকরা হাইটেক শিল্প প্রতিষ্ঠান, যেমন কম্পিউটার ক্ষেত্রের লেনোভো , ফাউন্ডার ও ইউনিসপ্লেন্ডার কোম্পানিআর টেলি-যোগাযোগ ক্ষেত্রেরহুয়া ওয়েও তাথাং কোম্পানিই এই সব হাইটেক অঞ্চলেগড়ে তোলা হয়েছে ।
    
চীনেরমানববাহী নভোযান পরিকল্পনা  
   
চীনের মানববাহী মহাকাশ পরিকল্পনা ১৯৯২ সালথেকে চালু হয় । তিন পদক্ষেপ সহ এই পরিকল্পনা অনুযায়ী , এক ,চীনের নভোচারীদের মহাকাশেপাঠানো হবে ; দুই,মহাকাশেনভোযানেরযুক্ত ওযোগাযোগেরপ্রযুক্তি সমস্যা নিষ্পত্তি করা হবেআরমহাকাশে স্বল্পকালীন ব্যবহার্য মহাকাশপরীক্ষাগার উত্ক্ষেপন করা হবেএবংতিন , দীর্ঘকালীন ব্যবহার্য মহাকাশকেন্দ্র নির্মাণ করা হবেআর মহাকাশেবৈজ্ঞানিক পরীক্ষা ওপ্রায়োগিক প্রযুক্তি সমস্যা নিষ্পত্তি করা হবে ।

    ১৯৯৯ সালের শেষ নাগাদচীন সাফল্যের সংগেস্বর্গীয় তরী -১ নামে মানবহীন নভোযান উত্ক্ষেপনকরেছে আরফিরিয়ে নিয়েছে ।তার পর তিন বছরেরও বেশি সময়ে চীন আরো তিন বার মানবহীন নভোযান উত্ক্ষেপন করেছে ।অবশেষে ২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর চীনের নিজেরগবেষণা আর তৈরী প্রথম মানববাহী স্বগীয়-তরী ৫ নভোযান উত্ক্ষেপন করেছে ।ইয়াং লি ওয়ে চীনের প্রথম নভোচারীতে পরিণত হয়েছেন । স্বর্গীয় ৫ নভোযানেরসাফল্যমন্ডিত উত্ক্ষেপনেপ্রতিফলিত হয়েছেযে ,চীন রাশিযা আর যুক্তরাষ্ট্র পর বিশ্বের এমন তৃতীয় দেশ হয়েছে , যে দেশেস্বাধীনভাবেমানববাহী নভো পরিভ্রমণেরতত্পরতা চালাতে সক্ষম ।

    চীন যে স্বর্গীয় তরী ৫ আর লংমার্চ ২এফ রকেট উত্ক্ষেপন করেছে ,তা মানববাহীনভো পরিভ্রমণের জন্য ডিজাইন আর তৈরী হয়েছে । স্বর্গীয় নভোযানকে প্রবল চালকশক্তি-চালিত ক্যাবিন ,ফিলিয়েআনা ক্যাবিন আরকক্ষপথ ক্যাবিন এই তিনভাগে বিভক্ত করা হয় ।এ পর্যন্তবিশ্বের এই বৃহত্তম নভোযানেতিনজন নভোচারী বহন করা যায়।নভোযানের মাধ্যমে নভোচারীরাযেমন আকাশ আরপৃথিবীর মধ্যে যাতায়াত করতে পারেন ,তেমনিতারসাহায্যেউপরথেকে পৃথিবীতে জরীপ ও পর্যবেক্ষণ করতে পারেন আরমহাকাশে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন । নভোচারীরাফিরিয়ে আনা ক্যাবিনেরসাহায্যেপৃথিবীতে ফিরে আসার পরনভোযানেরকক্ষপথক্যাবিন অব্যাহতভাবেমহাকাশেঅর্ধেক বছরেরও বেশি সময় ধরেঅবস্থান করতেপারে ।স্বর্গীয় তরী নভোযান উত্ক্ষেপনের জন্য যে লংমার্চ ২ এফ রকেট ব্যবহৃত হয়েছে, তাএ পর্যন্ত চীনেরবৃহত্তম , দীর্ঘতমআর জটিলতম রকেট ।

    ২০০৫ সালেচীন দু’জন নভোচারবাহী স্বর্গীয় তরী ৬ নভোযান উত্ক্ষেপন করেছে ।

চীনের চাঁদে পরিভ্রমণপ্রকল্প
    চীনের চাঁদে পরিভ্রমণের তিন পর্যায় আছে ।প্রথম পর্যায়ে চাঁদে পরিভ্রমণের জন্য অনুসন্ধান আর জরীপের উপগ্রহ উত্ক্ষেপন করা হবে । দ্বিতীয় পর্যায়ে চাঁদের অনুসন্ধান আর জরীপেরযন্ত্রচাঁদেরউপরে অবতরণ হবার পরচাঁদ পৃষ্ঠেপর্যবেক্ষণ আরঅনুসন্ধানের কাজচালানো হবে । তৃতীয় পর্যায়ে চাঁদে অনুসন্ধান আর জরীপের যন্ত্রচাঁদে এ সব কাজ সম্পন্ন করার পরপরীক্ষা-নিরীক্ষার তথ্য সহ পৃথিবীতে ফিরে আসবে ।

    চাঁদ পরিভ্রমণ প্রকল্প জানুয়ারী থেকে শুরু হয় । ২০০৬ সালেরশেষ নাগাদ উত্ক্ষেপনব্য চাঁদ পরিভ্রমণকারী অনুসন্ধান আর জরীপের ছাংও১ নামে উপগ্রহ চাঁদ পৃষ্ঠে অনুসন্ধান আর জরীপ চালাবে। এই প্রকল্প অনুযায়ী , চাঁদের ভূমার ঘনতাতদন্ত করা হবে , চাঁদে ব্যবহারযোগ্য উপাদান ও পর্দাথের বিন্যাস বিশ্লষণকরা হবেএবং পৃথিবী আর চাঁদেরমধ্যেকারমহাকাশের পরিবেশ নিয়েঅনুসন্ধান করা হবে ।

    যদিও চীন মহাকাশ ব্রত শুরু করেছে চল্লিশাধিক বছরহল, পরিবহক রকেট ও উপগ্রহতৈরী করতে সক্ষম আর মানববাহী নভোযান উত্ক্ষেপন করেছে , কিন্তু চীনের বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে ,চাঁদে অনুসন্ধান আর জরীপ করার জন্যবহু প্রযুক্তিগত সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হবে । এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যাএই যে ,নভোয়ান ৪ লক্ষ কিলোমিটারেরও বেশি দূরেউড়তেহবে ।

    খবরে প্রকাশ ,বর্তমানেচীনের চাঁদ প্রদক্ষিণকারী অনুসন্ধান আর জরীপেরপ্রকল্প সম্পন্ন করার জন্য জরীপ ও নিয়ন্ত্রণের টেলি-যোগাযোগ ব্যবস্থা আর ভূপৃষ্ঠ ব্যবস্থার পুনর্গঠন আর নির্মানকাজ চালানো হচ্ছে । ২০০৬ সালের অক্টোবর মাসের আগে উপগ্রহ আর রকেট ব্যবস্থার গবেষণা ও তৈরীর কাজ সম্পন্ন হবে ।