স্নাতকোত্তর পরীক্ষা বলতে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা গবেষনা সংস্থায় স্নাতকোত্তর ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির পরীক্ষা বোঝায়। পরীক্ষা মাস্টার’স ডিগ্রি ও ডক্টরেট ডিগ্রি এই দুটি পর্যায়ে বিভক্ত।
চীনের মাস্টার্স ডিগ্রিপ্রার্থী স্নাতকোত্তর পরীক্ষা লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা এই দুই অংশ বিভক্ত। লিখিত পরীক্ষার পাবলিক বিষয়গুলোর পরীক্ষার প্রশ্নগুলো একীভূতভাবে নির্ধারণ করে এবং ভর্তির নিম্নতম পয়েন্ট লাইন নির্ধান করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যেমন ধরা যাক, লিবারেল আর্টসের পরীক্ষার্থীদের রাজনীতি ও বিদেশীভাষার পরীক্ষাদিতে হয় আর বিজ্ঞান ও ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরীক্ষার্থীদের রাজনীতি, বিদেশীভাষা ও গণিতের পরীক্ষা দিতে হয়। বিশেষ বিশেষ বিষয়ের পরীক্ষায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা গবেষণা সংস্তা স্বাধীনভাবে পরীক্ষার বিষয়, বিষয়বস্তু ও ভর্তির পয়েন্ট লাইন নির্ধারণ করে। পরীক্ষার্থীদের লিখিত পরীক্ষায় ভর্তির প্রয়োজনীয় পয়েন্ট পাওয়ার পর মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা গবেষণা সংস্থা লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে ছাত্রছাত্রীদের বেছে নেয়।
ডক্টরেট ডিগ্রি’র স্নাতকোত্তর পরীক্ষা প্রধানত: সংশ্লিষ্ট উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গবেষণা সংস্থা স্বাধীনভাবে চালায়। যদি পরীক্ষার্থী মাস্টার’স ডিগ্রিধারী হয় এবং একই বিষয়ের উপর ডক্টরেট ডিগ্রিপ্রার্থী হয় হাহলে তাকে শুধু বিদেশীভাষা আর দু ‘তিনটি বিশেষি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। যদি পরীক্ষার্থী অন্য বিষয়ের ডক্টরেট ডিগ্রিপ্রার্থী আর মাস্টার’সের সমতুল্য ডিগ্রি নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেন তাহলে তাকে পাঁচ থেকে ছয়টি বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা দিতে হয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কর্মসংস্থানের চাপ বেড়ে যাওয়ার দরুন চীনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রার্থীদের সংখ্যা দ্রুত বেড়েছে এবং পরীক্ষায় ভর্তির হার কমেছে। তাছাড়া শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারের সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষায় স্নাতকোত্তর ছাত্রছাত্রীদের গ্রহীতা ইউনিট অর্থাত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা গবেষনা সংস্থার ক্ষমতা ক্রমেই বাড়ছে।