|
|
|
|
|
|
|
স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট সম্পন্ন চীনের স্থাপত্য, উজ্জ্বল চীনা সভ্যতার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চীনা স্থাপত্য, পাশ্চাত্যের স্থাপত্য আর মুসলিম স্থাপত্য নিয়ে বিশ্বের বৃহত তিনটি স্থাপত্য ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।
চীনের স্থাপত্য হচ্ছে বিশ্বের একমাত্র কাঠের কাঠামো-ভিত্তিক স্থাপত্য ব্যবস্থা এবং চীনাদের নীতিতত্ত্ব, নন্দনতত্ত্ব, মূল্যবোধ ও প্রকৃতিবোধের গভীর প্রকাশ। গভীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত চীনের স্থাপত্য শিল্পের প্রধান প্রধান বৈশিষ্টের মধ্যে রয়েছে: সম্রাটের ক্ষমতাকে সব কিছুর উপর স্থান দেওয়ার চিন্তাধারা ও কড়াকড়ি সামাজিক পদমর্যাদার ধারণার অভিব্যক্তি, প্রাসাদ ও নগরী পরিকল্পনার সর্বোচ্চ সাফল্য, স্থাপত্যকর্মপুঞ্জের সার্বিক সৌন্দয্যের উপর বিশেষ জোর দেওয়া, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় রেখার দু’পাশে সুসমঞ্জস স্থাপত্যকর্মপুঞ্জের কাঠামো, প্রকৃতিকে সম্মান করা, প্রকৃতির সঙ্গে উচ্চমাত্রার সমম্বয় সাধনের উপর জোর দেওয়া এবং নম্রতা, নিরহংকার, চাপা ও গভীরতার সৌন্দয্য অন্বেষণের উপর বিশেষ জোর দেওয়া।
হান জাতির স্থাপত্যের পাশাপাশি চীনের অন্যান্য সংখ্যালঘু জাতির বৈচিত্রময় স্থাপত্যের সমন্বয়ে চীনে একটি পূর্ণাঙ্গ স্থাপত্য ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে ।
চীনের স্থাপত্যে প্রধানত প্রাসাদ , মন্দির স্থাপত্য, উদ্যান স্থাপত্য, সমাধি স্থাপত্য আর বসতি স্থাপত্য অন্তভুক্ত।
ইতিহাসে চীনের স্থাপত্য, শৈল্পিক বৈশিষ্ট ও কৌশলের ক্ষেত্রে বিদেশের সঙ্গে আদানপ্রদানকে গুরুত্ব দেয় এবং জাপান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও মঙ্গোলিয়া প্রভৃতি দেশের স্থাপত্যের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল। এখনকার চীনের স্থাপত্য ঐতিহ্যিক রীতি বজায় রাখার সঙ্গে সঙ্গে পাশ্চাত্যের শৈল্পিক বৈশিষ্ট ও আহরণ করে অনবরত বিকশিত হয়ে চলছে।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|