চীনের সংখ্যালঘুজাতির সংস্কৃতি


      সংখ্যালঘুজাতির সংস্কৃতির উত্তরাধিকার সূত্র গ্রহণ আর সম্প্রসারণ করার জন্য বিভিন্ন স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চল ও বিভাগ যার যার অবস্থা অনুসারে স্বঅঞ্চলের লেখক সমিতি, অপেরা শিল্পী সমিতি, সুরকার সমিতি, নৃত্য শিল্পী সমিতি, চিত্র শিল্পী, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি এবং আলোকচিত্রশিলপী সমিতি প্রভৃতি সংস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছে। বেশকিছু সংখ্যালঘুজাতি এলাকার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর সংখ্যালঘুজাতি ইনস্টিটিউটগুলোতে সংখ্যালঘুজাতির সাহিত্য শিক্ষা কোর্স চালু করা হয়েছে। অনেকগুলো অঞ্চলে শিল্পকলা বিদ্যালয়, যেমন সংগীত ইনস্টিটিউট, অপেরা ইনস্টিটিউট, চলচ্চিত্র ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিপুলসংখ্যক সংখ্যালঘুজাতির সাহিত্য ও শিল্পকলার যোগ্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত তিব্বতী, চিকিত্সা, মঙ্গলিয় চিকিত্সা আর উইগুর চিকিত্সা বিষয়ক মাধ্যমিক পেশাগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

       বর্তমানে চীনে বেশ কিছু সংখ্যালঘুজাতির লেখক ও শিল্পী আছেন। যেমন মান জাতির লেখক লাওসৌ, তাই জাতির কবি খাং লান ইং, হেচে জাতির লেখক উপাইসিং প্রমূখ। বিপুল সংখ্যক পেশাদার ও অপেশাদার সংখ্যালঘুজাতির শিল্পী দলও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারা সংখ্যালঘুজাতির গ্রামাঞ্চল, পশুপালন এলাকা আর শহরশুলোতে কার্যরত আছেন।

       সংখ্যালঘুজাতির লোকসাহিত্যের শিল্প তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। যেমন বিশ বছর আগে সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদ্যোগে চীনের লোকসংগীত সংগ্রহ, চীনের অপেরা সংগীত সংগ্রহ, চীনের সংখ্যালঘুজাতির রকমারি লোকবাদ্যযন্ত্র, চীনের অপেরা সংগীত, চীনের সংখ্যালঘুজাতির নৃত্য, চীনের অপেরা সম্পর্কিত পরিচিতি, চীনের লোক কাহিনী সংগ্রহ, চীনের ছড়া সংগ্রহ, চীনের প্রবাদ সংগ্রহ আর চীনের অপেরা সংগ্রহ প্রকাশিত হয়েছে।

       সংখ্যালঘুজাতির সাহিত্য ও শিল্পকলা পত্রিকা আরও প্রসারিত হয়েছে। বর্তমানে চীনে সংখ্যালঘুজাতির সাহিত্য ও শিল্পকলা পত্রিকার সংখ্যা একশ’রও বেশি। কোনও কোনও অঞ্চলে নিজেদের কবিতা, সংগীত , চারুকলা, চলচ্চিত্র প্রভৃতি পত্রিকাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় বিশ রকমের পত্রিকা সংখ্যালঘুজাতির ভাষায় প্রকাশিত হয়। চীনের সংখ্যালঘুজাতির স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চলগুলোতে প্রকাশিত বই, সংবাদপত্র ও পত্রিকার সংখ্যা বিপুলমাত্রায় বেড়ে গেছে। সংখ্যালঘুজাতির ভাষায় প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৪ শ’তে দাঁড়িয়েছে।