বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষা অগ্রগতির
ভিত্তি। সংখ্যালঘুজাতির শিক্ষার
উন্নয়ন করার জন্য চীন সরকার বেশ
কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এইসব
নীতি ও ব্যবস্থা অনুযায়ী শিক্ষার
উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেওয়া হব
আর তাদের সাহায্য দেয়া হবে এবং
গণতান্ত্রিক শিক্ষা পরিচালনা
সংস্থা স্থাপন করা হবে। সংখ্যালঘুজাতির
শিক্ষা উন্নয়ন করার জন্য সংখ্যালঘুজাতি
আর সংখ্যালঘুজাতি স্বায়ত্ত শাসিত
অঞ্চলকে স্বতন্ত্র অধিকার দেওয়া
হবে এবং তাদের এই অধিকারের উপর
গুরুত্ব দেওয়া হবে,সংখ্যালঘুজাতির
ভাষা শিক্ষা, স্বজাতি ও হান ভাষা
শিক্ষার উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে
আর সংখ্যালঘুজাতির লিপি ও পাঠ্যপুস্তকের
নির্মানকাজ জোরদার করা হবে। সংখ্যালঘুজাতির
শিক্ষক প্রশিক্ষণের কাজ জোরদার
করা হবে, অর্থ বরাদ্দের দিক থেকে
সংখ্যালঘুজাতি ও সংখ্যালঘুজাতি
অঞ্চলকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
সংখ্যালঘুজাতি এলাকা আর সংখ্যালঘুজাতির
বাস্তবতার দিক থেকে রকমারি সংখ্যালঘুজাতি
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা
হবে আর সংখ্যালঘুজাতি এলাকার
জন্য যোগ্য কর্মী প্রশিক্ষণ দেওয়া
হবে। স্কুলে ভর্তি আর জীবনযাপনের
জন্য সংখ্যালঘুজাতির ছাত্রছাত্রীদের
উপযুক্ত সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে
এবং সংখ্যালঘুজাতি এলাকাকে সাহায্য
করার জন্য উন্নত অঞ্চলকে উত্সাহ
দেওয়া হবে।
চীন
সরকার বেশকিছু উন্নয়নমূলক ব্যবস্থা
গ্রহণ করে সংখ্যালঘুজাতি এলাকার
শিক্ষার উন্নয়ন করেছে, সকল শর্ত
কাজে লাগিয়ে নানা রকম প্রাথমিক
স্কুল, মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠা স্থাপন করেছে
এবং সংখ্যালঘুজাতির বৈশিষ্ট্য
বিবেচনা করে সংখ্যালঘুজাতির প্রাথমিক
ও মাধ্যমিক স্কুলে স্বজাতির ভাষা
ও লিপি শিক্ষার কাজ চালিয়েছে।
চীনের বিভিন্ন স্তরের বিবিধ স্কুলে
সংখ্যালঘুজাতির ছাত্রছাত্রীর
সংখ্যা বিপুলমাত্রায় বেড়ে গেছে।
উত্তর-পশ্চিম , উত্তর পূর্ব আর
দক্ষিণ পশ্চিম চীনে সংখ্যালঘুজাতি
এলাকাগুলোতে প্রতিষ্ঠিত উচ্চ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন
জাতির হাজার হাজার সংখ্যালঘুজাতির
ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়া
হয়েছে।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বর্তমানে চীনের ৫৫টি সংখ্যালঘুজাতির মধ্যে ব্যাচলর্স-ডিগ্রির ছাত্র, মাস্টার্স-ডিগ্রির ছাত্র আর ডক্টরেট-ডিগ্রির ছাত্র আছেন।
(ছবিতে দেখা
যাচ্ছে চীনের কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘুজাতি
তত্ত্ব বিশ্ববিদ্যালয় )
|