চীনের জাতি সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত পরিচিত


       চীন একটি একীকরণের বহুজাতিক দেশ এবং পৃথিবীতে সবচাইতে বেশি লোকসংখ্যাসম্পন্ন দেশ। বর্তমানে চীনে মোট ৫৬টি জাতি আর ১.৩ বিলিয়ন লোকসংখ্যা আছে।

       চীনের এইসব জাতি হল : হান জাতি, মংগোলিয়া জাতি, হুই জাতি, তিব্বত জাতি, উইগুর জাতি, মিয়াও জাতি, ই জাতি, জুয়াং জাতি, পু ই জাতি, কোরিয় জাতি, মান জাতি, থুং জাতি, ইয়াও জাতি, পাই জাতি, লি লি জাতি, ওয়া জাতি, শে জাতি, কাওসান জাতি, লাকু জাতি, সুই জাতি, থুং শিয়াং জাতি, নাসি জাতি, চিনফু জাতি, কিরগিজ জাতি, থু জাতি, দাউর জাতি, মুলাও জাতি, ছিয়াং জাতি, পুলাআং জাতি, সালা জাতি, মাওনান জাতি, কেলাও জাতি, সিবো জাতি, আছাং জাতি, ফুমি জাতি, তাজিক জাতি, নু জাতি, উজবেক জাতি, রুশ জাতি, ওওয়েন্ক জাতি, তেআন জাতি, পাও আন জাতি, ইয়্যুকুও জাতি, চিং জাতি, তাতার জাতি, তুলুং জাতি, ওলেনছুং জাতি, হেচে জাতি, মেনপা জাতি, লুপা জাতি আর কিনু জাতি। তা ছাড়া এ পর্যন্ত চীনে কিছুসংখ্যক অপরিচিত জাতির লোকসংখ্যাও আছে।

       চীনে হান জাতির ওকসংখ্যার অনুপাত মোট লোকসংখ্যার শতকরা ৯২ ভাগ। সংখ্যালঘু জাতির লোকসংখ্যা শতকরা ৮ ভাগের কিছুটা বেশি। যেহেতু হান জাতির তুলনায় অন্য ৫৫টি জাতির লোকসংখ্যা কম, সেহেতু তাদেরকে সংখ্যালঘুজাতি বলা হয়। এইসব সংখ্যালঘু জাতি প্রধানত : চীনের উত্তর পশ্চিম, দক্ষিণ পশ্চিম আর উত্তর পূর্ব অঞ্চলে ছড়িয়ে রয়েছে।

       সুদীর্ঘকালের ঐতিহাসিক উন্নয়নে চীনের বিভিন্ন জাতি ধাপে ধাপে হান জাতিভিত্তিক একটি অধ্যুষিত যাতিতে পরিনত হয়েছে। ৫৫টি জাতির মধ্যে হুই জাতি আর মান জাতি হান ভাষা ব্যবহার করে। তা ছাড়া বাকী জাতি যার যার নিজস্ব ভাষা বা হান ভাষা ব্যবহার করে। বহু বছর ধরে ৫৬টি জাতি চীনের ৯৬লক্ষ বর্গ কিলোমিটার ভূমিতে যৌথভাবে পরিশ্রম করে আর বংশ বিস্তার করে চীনের সুদীর্ঘকালীন ইতিহাস আর উজ্জ্বল সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে।