চীনের আটটি বিখ্যাত বড় রন্ধন শৈলী

 
  • শানডোং রন্ধের শৈলী 

    বিভাগ:শানডোংএর রাজধানী জিনান আর পুর্ব শানডোং অঞ্চলগুলো নিয়ে এই দুটি স্থানীয় খাবার শৈলী নিয়ে গঠিত। 
    বৈশিষ্ট্য:গুরুপাক খাবার । সী ফুড জনপ্রিয়। সাধারণত নানা ধরনের প্রাণীর নাড়িভুঁড়ি দিয়ে সুপ বানানো হয়। 
    নাম-করা খাবার হলো:তেলে ভাজা করা ঝিনুক, সশ আর চিনি দিয়ে বানানো শার্ক , ভিনিগা আর চিনি দিয়ে বানোন মাছ। 

  • সিছুয়েন রন্ধন শৈলী 

    বিভাগ: ছেংডু আর ছনছিং এ দুটি বিভাগ 
    বৈশিষ্ট্য:স্বাদ বৈচিত্রময় বলে বিখ্যাত। 
    নাম-করা খাবার হলো:মুর্গির মাংসের টুকরো এবং বাদামের সঙ্গে মিশ্র খাবার প্রভৃতি।
  • চিয়াংসু রন্ধন শৈলী 

    বিভাগ: ইয়াংযৌ, সুযৌ আর নানচিংঙেরস্থানীয় খাবার থেকে বিকশিত হয়।

    বৈশিষ্ট্য: রন্ধনের কৌশল হল সেদ্ধ করা, অল্প আঁচেবেশী সময় সেদ্ধ করা। সুপের দিকে বেশী মনোযোগ দেওয়া হয় ।

    নাম-করা খাবার হলো: মুরগীর সুপে কাচা বাঁশের ফালি , কাঁকড়ার গুঁড়া মাংসের টুকরার মিশ্র খাবার।

  • জেচিয়াং রন্ধন শৈলী

    বিভাগ: হাংযৌ, নিংপো, শাওশিং প্রভৃতি জায়গার স্থানীয় খাবার নিয়ে গঠিত। হাং যৌ খাবার সবচেয়ে বিখ্যাত।

    বৈশিষ্ট্য:টাটকা, খেতে সুস্বাদু, বেশী চবি নেই ।

    নাম-করা খাবার: লংচিন চিঁড়ি মাছ, চিওহুয়া মুরিগী এবং সিহু ভিনেগার দেয়ামাছ

     
  • কুয়াংতুং রন্ধন শৈলী 

    বিভাগ: গুয়াংযৌ, চাওযৌ আর তংচিয়াং এ তিনটি বিভাগ, গুয়াংযৌ খাবার এই বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করে।

    বৈশিষ্ট্য: রান্নার পদ্ধতি হল ভাজা আর বেশী সময় সেদ্ধ করা। খেতে বেশী লোনা নয়।

    নাম-করা খাবার হল: ড্রাগন আর ফিনিক্সের মিশ্রন, কুমড়ো সুপ , গুলাও মাংস ইত্যাদি।

  • হুনান রন্ধন শৈলী 

    বিভাগ: হুনানের স্থানীয় বৈশিষ্ট্য নিয়ে গঠিত

    বৈশিষ্ট্য: বিভিন্ন খাবার টক, গরম, ঝাল।বেশীর ভাগ খাবার ঝাল।

    নাম-করা খাবার:নুড়ি চিনিআরলদ্মর সুপ, চিনি আর শৈসশ দিয়ে মাছের পাখা সেদ্ধ করা।

     
  • ফুচিয়ান রন্ধন শৈলী 

    বিভাগ: ফুচিয়েন, ছিয়েনযৌ আর শিয়ামেনপ্রভৃতি জায়গায় বিকশিত হয়। ফুযৌ খাবার এই রন্ধন শৈলীর প্রতিনিধিত্ব করে।

    বৈশিষ্ট্য : সী ফুড জনপ্রিয়। বেশীর ভাগখাবার মিষ্টি, দেখতে টাটকা ।
    নাম-করা খাবার:হিমায়িত মুরগী , চিন শো ফু, লেবুর জুসে মাছ , টাইচ চিঁড়ি ভাজা মাছ ইত্যাদি।

     
  • আনহুই রন্ধন শৈলী 

    বিভাগ: দক্ষিণ আনহুই, ইয়াংসি নদী আর হুইহো নদী বরাবর স্থানীয় খাবার নিয়ে গঠিত। দক্ষিণ আনহুই খাবার এই রন্ধন শৈলীর প্রতিনিধিত্ব করে।

    বৈশিস্ট্য: খাবারে সাধারণত: নুড়ি চিনি দেয়া হয় । সেদ্ধ করার সময় সময় আর আগুনের দিকে বেশী মনোযোগ দেয়া হয়।

    নাম-করা খাবার: কুমড়ো হাঁস, ফুলিচি মুরগি