এক নজরে পর্যটন সম্পদ


       চীন একটি বিশাল দেশ এবং তা মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যে ভরা।চীনের সংস্কৃতি উজ্জ্বল। একটি বহুজাতিক দেশ হিসেবে চীনের বিভিন্ন জাতির রীতিনীতি বৈচিত্র্যময়।চীনে প্রযুর বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন স্থানীয় পণ্য পাওয়া যায় এবং সেগুলোর শিল্পমান সুচারু ।চীনের খাবার বিশ্ব বিখ্যাত।চীনের পর্যটন সম্পদ অত্যন্ত সম্মৃদ্ধ। চীনে পর্যটন উন্নয়নের ভবিষ্যত উজ্জ্বল আর পর্যটনের সুপ্ত শক্তিও বিরাট।চীনের অর্থনৈতিক বিকাশ আর উন্মুক্ততার মাত্রা ক্রমান্বয়ে গভীরতর হওয়ার সংগে সংগে পর্যটনশিল্প অর্থনৈতিক বিকাশের একটি নতুন প্রবৃদ্ধির বিন্দুতে পরিণত হয়েছে। সম্প্রতি চীনের বিভিন্ন জায়গায় দশর্নীয়স্থানের সংখ্যা ক্রমাগতভাবে বেড়েছে, অবকাঠামোর গঠণকাজ ক্রমাগত সম্পূর্ণ হয়েছে, চীনে ভ্রমণ করতে আসা বিদেশী পর্যটকের সংখ্যা বছরের পর বছর বাড়ছে।

       চীনের পর্যটন সম্পদের রকমারিতা বেশী,শৈলীও নানা রকমের। ভূ-সংস্থানের আছে নানা তরিতম্য ও রুপবৈচিত্র্য। ঠুলুফান অবভূমির আইদিন হৃদের তলা সমুদ্র-সমতলের তুলনায় ১৫৫ মিটার নীচে, বিশ্বের প্রথম শৃংগ---চুমুলাংমা শৃংগ সমুদ্র-সমতলের তুলনায় ৮৮৪৮ দশমিক ১৩ মিটার উচু। দুটি জায়গার উচ্চতার ব্যবধান ৯০০৩ মিটার।সারা পৃথিবীতে এটা অদ্বিতীয়।আবার পর্যটন জলবায়ুর তথ্য ধরা যাক, চীনের ভিন্ন ভিন্ন জায়গার জলবায়ুর মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাত দেখা যায়।বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, যে অঞ্চলে পর্বতমালা দক্ষিণ-উত্তর বিস্তৃত হয় সে অঞ্চলের জলবায়ু বৈচিত্র্যময়।চীনে এক কথা আছে, একই পাহাড়ে চারটি ঋতু, পাঁচ কিলোমিটারের দূরে ভিন্ন জলবায়ু।

       চীন হচ্ছে বিশ্ব সভ্যতার জম্ম স্থানগুলোর অন্যতম।চীনের ইতিহাস সুদীর্ঘকালের এবং সংস্কৃতি উজ্জ্বল।আদিমকাল থেকে এখন পর্যন্তসংরক্ষিত মূল্যবান উত্তরাধিকার অত্যন্ত মূল্যবান পর্যটন সম্পদের রুপ ধরেছে।কেবল ১৯৪৯ সালে নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে, চীনের ৩৪টি প্রাদেশিক প্রশাসন ইনিটের মধ্যে ২৯টি ইউনিটে পুরাতন প্রস্তর যুগের অবশিস্টাংশ উদ্ধার করা হয়েছে।

       চীনে প্রচুর দর্শনীয়স্থান আর পুরাকীর্তি আছে। এগুলোর মধ্যে ছিন রাজবংশের প্রধান সম্রাট--ছিন শিহুয়াংএর ভূর্গভস্থসৈনিক ও ঘোড়ার মূর্তিরযাদুঘর এবং পিতলের তৈরী ঘোড়ার গাড়িকে বিশ্বের অষ্টম বিস্ময় বলে আখ্যা দেয়া হয়।ছিন রাজবংশের সৈনিক ও ঘোড়ার মূর্তির যাদুঘরে প্রত্যেক দিন লক্ষাধিক পর্যটক বেড়াতে যান ।কানসু প্রদেশের তুনহুয়াং মোকাও গুহা মন্দিরের বৌদ্ধধর্মের শিল্পকলা বিশ্বের শিল্পকলার ভান্ডার বলে সর্বজনস্বীকৃত হয়।বিশ্ব বিখ্যাত মহা প্রাচীর নি:সন্দেহে চীনা জনগণের এমন একটি গৌরবদীপ্তজায়গা যা না দেখলে চলবে না ।তা ছাড়া, চীনে ৫৬টি সংখ্যালঘু জাতি আছে। নিজ নিজ জাতির স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং রীতিনীতি আছে।এ সব এক একটি বৈচিত্রময় , আকর্ষনীয়এবং অপরুপ সাংস্কৃতিক আকর্ষণ ।