১৯৯৪ সালের এপ্রিল মাসে মরোক্কোর মাররাকাসে অনুষ্ঠিত শুল্ক- বানিজ্য সাধারন চুক্তির মন্ত্রী-পযায়ের সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববানিজ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । ১৯৯৫ সালের ১ জানুয়ারি বিশ্ববানিজ্য সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয় । সংস্থাটির লক্ষ্য হলো , জীবনযাত্রার মান উন্নত করা, কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তা বিধান করা, প্রকৃত আয় আর প্রয়োজনের চাহিদার নিশ্চয়তা বিধান করার জন্য অর্থনীতি আর বানিজ্যের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা , টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অনুযায়ী যুক্তিযুক্তভাবে বিশ্ব-সম্পদ ব্যবহার করে মাল আর পরিসেবার উত্পাদন সম্প্রসারন করা , পরস্পরকে সুবিধা ও কল্যান দেওয়ার চুক্তি সম্পাদন করা, বিপুলমাত্রায় শুল্ক ও অন্যান্য বানিজ্যের বাধা কমিয়ে দেওয়া বা বাতিল করা এবং আন্তর্জাতিক বানিজ্যের বৈষম্য দূর করা । সংস্থাটির মোট সদস্য সংখ্যা ১৪৪, এর সদর দপ্তর জেনিভায় ।
১৯৮৬ সালে চীন শুল্ক বানিজ্য সাধারন চুক্তিতে চীনের আসন পুনরুদ্ধারের দাবী উত্থাপন করার পর চীন শুল্ক বানিজ্য সাধারন চুক্তি অর্থাত বিশ্ববানিজ্য সংস্থায় শরিক হওয়ার জন্য অক্লান্ত প্রচেষ্টা চালিয়েছে । ২০০১ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টম্বর পযন্ত সময়ের মধ্যে বিশ্ববানিজ্য সংস্থার চীন বিষয়ক কর্ম-গ্রুপ চারবার সভায় অংশ নিয়ে বিশ্ব বানিজ্য সংস্থায় চীনের অন্তর্ভূক্ত হওয়া সম্পর্কে বহুপাক্ষিক বৈঠক সম্পন্ন করেছে এবং এতে চীনের অন্তর্ভূক্তি সম্পর্কে আইনগত দলিলের অনুমোতি নিয়েছে । একই সালের ৯ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববানিজ্য সংস্থার চতুর্থ মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন কাতারের রাজধানী দোহাতে অনুষ্ঠিত হয়, চীনের বৈদেশিক আর্থ-বানিজ্যমন্ত্রী সি কুয়াংশেন প্রতিনিধি দল নিয়ে সম্মেলনে অংশ নেন, ১১ তারিখে চীন সংস্থাটিতে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার প্রটোকোলে স্বাক্ষর করে । ১৯ থেকে ২০ ডিসেম্বর পযন্ত বিশ্ববানিজ্য সংস্থার আনুষ্ঠানিক সদস্য হিসেবে চীন বিশ্ব বানিজ্য সংস্থার সাধারন পরিষদের সভায় অংশ নেয় ।