এশিয়া আর প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থা ও চীন
১৯৮৯ সালের জানুয়ারি মাসে অষ্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী হোওয়াট দক্ষিন কোরিয়া সফরকালে “সিউল প্রস্তাব “ পেশ করে এশিয়া ও প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চলের মন্ত্রী পযায়ের সম্মেলনে প্রস্তাব করেন যাতে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার সমস্যা আলোচনা করা যায় । সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার পর , অষ্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র , জাপান, দক্ষিন কোরিয়া ,নিউজিল্যান্ড,কানাডা আর সেসময়ের ছটি আশিয়ান দেশ অষ্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যামপেরায় এশিয়া আর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক সহযোগিতা সংস্থার মন্ত্রী পযায়ের প্রথম সম্মেলন আয়োজন করে , এপেক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় ।
১৯৯১ সালের নভেম্বরে সিউল শহরে অনুষ্ঠিত এপেকের তৃতীয় মন্ত্রী পর্যায়-সম্মেলনে গৃহিত“সিউল ঘোষনায়”আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্থাটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে যে , এই অঞ্চলের জনগণের অভিন্ন স্বার্থের জন্য অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির ও উন্নয়ন বজায় রাখা, সদস্যে-সদস্যে অর্থনীতির পারস্পরিক নির্ভরশীল হওয়া ত্বরান্বিত করা , উমুক্ত হওয়া বহুপাক্ষিক বানিজ্য ব্যবস্থা জোরদার করা , আঞ্চলিক বানিজ্য আর পূঁজি বিনিয়েগের বাধা কমিয়ে দেওয়া ।
সংস্থাটির মোট সদস্য সংখ্যা ২১ ।
চীনের সঙ্গে সম্পর্ক:
১৯৯১ সালে এপেকের সদস্য হওয়ার পর চীন সক্রিয়ভাবে এপেকের বিভিন্ন কাযক্রমে অংশ নিয়েছে ,চীনের সংস্কার আর উমুক্ততার জন্য বহিঃবিশ্বের সঙ্গে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে এবং বলিষ্ঠভাবে এপেকের সদস্যদের সঙ্গে চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিকাশকে সামনে এগিয়ে নিয়েছে । ১৯৯৩ সাল থেকে প্রতি বছর চীনের প্রেসিডেন্ট এপেকের নেতাদের অনানুষ্ঠানিক সম্মেলনে অংশ নেন এবং বিবিধ বিষয়ে চীনের প্রস্তাব ও নীতিগত মতামত পেশ করেন, এভাবে চীন সম্মেলনের সাফল্যের জন্যে ইতিবাচক আর গঠনমূলক ভূমিকা পালন করেছে । ২০০১ সালে চীন সাফল্যের সঙ্গে সাংহাইয়ে এপেকের নেতাদের অনানুষ্ঠানিক সম্মেলন আয়োজন করে ।