জাতিসংঘ ও চীন


  ১৯৪৫ সালের ২৫ এপ্রিল ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান্ফ্রান্সিস্কোয় জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সংস্থার অধিবেশনে মিলিত হন। ২৫ জুন “ জাতিসংঘ সনদ ” গৃহিত হয়। ২৬ জুন চীন,ফ্রান্স , সোভিয়েত্ ইউনিয়ন, বৃটেন , যুক্তরাষ্ট্র আর অন্যান্য সংখ্যাগরিষ্ঠ স্বাক্ষরদানকারী দেশ দাখিল করে অনুমোদিত হওয়ার পর সনদটি কাযকর হয়ে জাতিসংঘ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় । ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ ২৪ অক্টোবরকে জাতিসংঘ দিবস হিসেবে গ্রহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।

  জাতিসংঘের লক্ষ্য হলো ,আন্তর্জাতিক শান্তি আর স্থিতিশীলতা রক্ষা করা , বিভিন্ন দেশের জনগণের সমান অধিকার আর আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকার আর আত্মনিয়ন্ত্রনাধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক বন্ধু-সম্পর্ক সম্প্রসারন করা , আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক আর মানবতাবাদী সমস্যা সমাধান করার জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চালানো এবং গোটা মানবজাতির মানবাধিকার আর মৌলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন ত্বরান্বিত করা । ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত জাতিসংঘের মোট ১৯১ সদস্যরাষ্ট্র আছে , এর মধ্যে ৪৯ হলো প্রতিষ্ঠাতা সদস্যরাষ্ট্র । যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তর , সুইজারল্যান্ডের জেনিভা, অষ্ট্রিয়ার ভিয়েনা, কেনিয়ার নাইরোবি আর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে এর শাখা স্থাপন করা হয়েছে ।

  চীন বৃহত উন্নয়নমুখি দেশ এবং নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র ,আন্তর্জাতিক বিষয়ে সবসময় ন্যায়ের পক্ষেকাজ করে বলে জাতিসংঘে আর আন্তর্জাতিক মঞ্চে চীনের গুরুত্বপূর্ণ আর বিশেষ মর্যাদা রয়েছে । বর্তমানে ন্যায্য আর যুক্তিযুক্ত আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক নতুন শৃঙখলা প্রতিষ্ঠা ত্বরান্বিত করার ব্যাপারে জাতিসংঘ কি ধরনের ভূমিকা পালন করবে তা আন্তর্জাতিক সমাজের মনোযোগের কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে । আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক নতুন শৃঙখলা প্রতিষ্ঠা করা, শান্তি রক্ষা করা, উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা,আধিপত্যবাদের বিরোধিতা করা সম্পর্কে চীনের প্রস্তাবে পাঁচটি সদস্যরাষ্ট্রের সমন্বয় আর সহযোগিতার কথা জোর দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যাতে বিশ্বশান্তি আর উন্নয়নের জন্য কল্যানকর হবে ।