আশিয়ান আর চীন


  আশিয়ান হল ১৯৬১ সালের ৩১ জুলাই প্রতিষ্ঠিত দক্ষিন পূব এশিয়া সংঘ। ১৯৬৭ সালের আগস্ট মাসে ইন্দোনেশিয়া , থাইল্যান্ড,সিঙ্গাপুর , ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া এই পাঁচটি দেশ ব্যাংককে অনুষ্ঠিত সভায় “ব্যাংকক ঘোষনা ”প্রকাশ করে আনুষ্ঠানিকভাবে দক্ষিন পূর্ব এশিয়া দেশ সংঘ সংক্ষেপে আশিয়ানের প্রতিষ্ঠা ঘোষনা করে । এরপর মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড আর ফিলিপাইন এই তিনটি দেশ কুয়ালালাম্পুরে মন্ত্রী পযায়ের সভা অনুষ্ঠান করে । সভাটিতে দক্ষিন পূর্ব এশিয়া দেশ সংঘ দক্ষিন পূর্ব এশিয়া সংঘের স্থলাভিষিক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ।

   লক্ষ্য:

  সমতা আর সহযোগিতার মতাদর্শের আলোকে মিলিতভাবে এই অঞ্চলের অর্থ-প্রবৃদ্ধি, সমাজ- অগ্রগতি আর সংস্কৃতি-উন্নয়ন তরান্বিত করার প্রচেষ্টা চালানো

  ন্যায়,রাষ্ট্রে-রাষ্ট্রে সম্পর্কের নিয়ম আর “জাতিসংঘসনদ” অনুযায়ী এই অঞ্চলের শান্তি আর স্থিতিশীলতা ত্বরান্বিত করা

  অর্থনীতি , সমাজ , সংস্কৃতি,প্রযুক্তি আর বিজ্ঞান প্রভৃতি ক্ষেত্রের সহযোগিতা আর পারস্পরিক সমর্থন ও সাহায্য ত্বরান্বিত করা

  শিক্ষা, পেশা ও প্রযুক্তি আর প্রশাসন ক্ষেত্রের প্রশিক্ষন এবং গবেষনা-ব্যবস্থা প্রভৃতি ক্ষেত্রে পরস্পরকে সমর্থন ও সাহায্য করা

  পূর্ণভাবে কৃষি ও শিল্প ব্যবহার, বানিজ্য সম্প্রসারন, যোগাযোগ ও পরিবহন উন্নতি আর জনগনের জীবনযাত্রার মান বাড়ানোর ক্ষেত্রে আরও কাযকরিভাবে সহযোগিতা চালানো

  দক্ষিন পূর্ব- এশিয়া সমস্যার গবেষনা ত্বরান্বিত্ব করা

  অনুরুপ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পন্ন আন্তর্জাতিক আর আঞ্চলিক সংস্থার সংঙ্গে ঘনিষ্ঠ আর পারস্পরিক উপকারিতার সহযোগিতা বজায় রেখে তার সঙ্গে আরও নিবিড় সহযোগিতা করার পদ্ধতি খুঁজে বের করা

  সদস্য:

  ভ্রনেই , কাম্পুচিয়া , ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া , মায়ানমার, ফিলিপিন, সিঙ্গাপুর , থাইল্যান্ড , ভিয়েতনাম আশিয়ানের দশটি সদস্য রাষ্ট্র ।

  চীনের সঙ্গে সম্পর্ক:

  চীন ইতিমধ্যে আশিয়ানের সকল সদস্যদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে এবং ১৯৯৬ সালে আশিয়ানের সাবিক সংলাপের অংশিদার রাষ্ট্রে পরিনত হয়েছে ।