সেকিউরিটিস্ ও তার তত্ত্বাবধা


       ১৯৯০ ও ১৯৯১ সালে চীনের সাংহাই ও শেনচেন শহরে আলাদাভাবে স্টক-এক্সচেঞ্জ স্থাপিত হয় । অল্প ১০ বছরের কিছু বেশী সময়ে চীনের শেয়ার-বাজার ছোট থেকে বড় হয়েছে, বিশৃঙ্খল থেকে সুশৃঙ্খল হয়েছে, অন্য অনেক দেশে এই প্রক্রিয়া অতিক্রম করতে শতাধিক বছর সময় লেগেছিল । আজ চীনের স্টক -এক্সচেঞ্জ এতো বিরাট যে, তার মোট পুঁজি ৪০০০ বিলিয়ন ইউয়ানেরও বেশী, ১২০০টিরও বীমা কোম্পানি শেযার বাজারে প্রবেশ করেছে , চীনে পুঁজিবিনিয়োগকারীদের মোটসংখ্যা ৭ কোটিরও বেশী । 

  ১৯৯৮ সালে চীনে সেকিউরিটিস্ তত্ত্বাবধান কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এটা সারা দেশের সিকিউরিটিস ও ফিউচার্স বাজার পরিচালনার সংস্থা হিসেবে দেশের একীভূত সিকিউরিটিস ও ফিউচার্স তত্ত্বাবধান ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে এবং নিয়মিতভাবে সিকিউরিটিস ও ফিউচার্স তত্ত্বাবধান সংস্থাকে ভার্টিকালভাবে পরিচালনা করছে । চীনে সিকিউরিটিস ও ফিউচার্স স্টক-এক্সচেঞ্জ, শেয়ারবাজারে প্রবেশ করা কোম্পানিগুলো, সিকিউরিটিস ও ফিউচার্স ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, সিকিউরিটিস পুঁজিবিনিয়োগ তহবিল পরিচালনা কোম্পানি, সিকিউরিটিস ও ফিউচার্স পুঁজিবিনিয়োগের পরামর্শমূলক সংস্থা এবং সিকিউরিটিস ও ফিউচার্স মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ওপর তত্ত্বাবধান জোরদার করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ করার মান উন্নততর করা হয়েছে । নাগরিকদের জন্য শেয়ার-বাজার ইতিমধ্যেই অন্যতম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পুঁজিবিনিয়োগের চ্যানেল (উপায়) হয়েছে । চীনের প্রধান শেয়ার-বাজার বা স্টক এক্সচেঞ্জ হলো সাংহাই ও শেনচেনের স্টক এক্সচেঞ্জ। সারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে চালু রয়েছে স্টক এক্সচেঞ্জ ও হিসাবনিকাশের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা তাতে বীনা কাগজেই সিকিউরিটিস ইস্যু করা ও লেনদেন করা যায়, এর প্রধান প্রযুক্তিগত উপায় বিশ্বের উন্নত মানে পৌছেছে । ২০০৩ সালে চীনের মূলভূভাগে শেয়ার বাজারে প্রবেশ করা কোম্পানিগুলোর সংখ্যা ২০০২ সালের শেষ দিকের ১২২৪টি থেকে বেড়ে ১২৮৭টি হয়েছে , এই সব কোম্পানির শেয়ারের মোট মূল্য ৪২৫৭.৮ বিলিয়ন ইউয়ান, ২০০২ সালের শেষ দিকের চেয়ে ১১ শতাংশ বেশী ।