|
|
|
|
|
|
|
চীনে ইতিমধ্যেই এমন একটি আর্থিক ব্যবস্থা মোটামুটিভাবে গড়ে উঠেছে যা নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যার প্রধান অংশ হলো রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলো,যার মধ্যে নীতিগত আর্থিক কাজ আর বাণিজ্যিক আর্থিক কাজ আলাদা থাকে , বহু ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সহযোগিতা চলছে , তারা একে অপরের অনুপূরক হিসেবেও ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা পালন করে থাকে ।
চীনের গণ ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে ভূমিকা পালন করে, সারা দেশের ব্যাংকিংশিল্পের ওপর সামষ্টিক নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান করে । চীনের শিল্প ও বাণিজ্য ব্যাংক, ব্যাংক অব চাযনা, চীনের কৃষি ব্যাংক এবং চীনের কনস্ট্রাকশন ব্যাংক--এই চারটি ব্যাংক হলো রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক ; এর সংগে সংগে পর্যায়ক্রমে প্রতিষ্ঠিত চীনের কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং চীনের আমদানি ও রপ্তানি ব্যাংক---এই তিনটি ব্যাংক হলো নীতিগত (বা নীতিমূলক) ব্যাংক । ১৯৯৫ সালে চীনে “ বাণিজ্যিক ব্যাংক আইন ” প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বাণিজ্যিক ব্যাংক ব্যবস্থা ও সাংগঠনিক কাঠামো গড়ে তোলার অনুকূল শর্ত সৃষ্টি হয়েছে এবং রাষ্ট্রীয় বিশেষ ব্যাংকগুলোকে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকে রূপান্তরিত করার জন্য আইনগত ভিত্তি যুগিয়ে দেয়া হয়েছে । ১৯৯৬ সাল থকে ব্যাংকিং শিল্পের সাংগঠনিক কাঠামো ধাপে ধাপে পূর্ণাঙ্গ হয়েছে, রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংস্কারের ফলে মুদ্রার ব্যবসা পরিচালনাকারী আধুনিক ব্যাংকিং শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য পর্যায়ক্রমে ১২০টিরও বেশী লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে মাঝারী ও ছোট বাণিজ্যিক ব্যাংক সংযোজিত ও পুনর্গঠিত হয়েছে, স্টক ও বীমা ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও নিয়মমাফিক করা হয়েছে এবং উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে ।
চীনের ব্যাংকিং শিল্প তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনা কমিটি হলো চীনের ব্যাংকগুলোর তত্ত্বাবধান সংস্থা । ২০০৩ সালের ২৮শে এপ্রিল চীনের ব্যাংকিং শিল্প তত্ত্বাবধান ও ব্যবস্থাপনা কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের দায়িত্ব পালন শুরু করে । তার দায়িত্ব হলো : ব্যাংকিং শিল্পের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো তত্ত্বাবধান নিয়মাবলী ও পদ্ধতি প্রণয়ন করা , ব্যাংকিং শিল্পের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কর্মস্থলে বা অন্য স্থান থেকে তত্ত্বাবধান করা, আইন অনুসারে আইন লংঘনের দুরাচারের বিরুদ্ধে শাস্তি দেয়া ।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|