|
|
|
|
|
বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও উপকূলীয় উন্মুক্ত শহর
|
|
চীন সরকার ১৯৭৮ সালে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কার চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়ার সংগে সংগেই সুপরিকল্পিতভাবে ও ধাপে ধাপে উন্মুক্ত নীতি প্রবর্তন করেছে । ১৯৮০ সাল থেকে চীন পর পর কুয়াংতোং প্রদেশের শেনচেন ,চুহাই, সানথৌ, ফুচিয়েন প্রদেশের সিয়ামেন ও হাইনান প্রদেশে আলাদা আলাদাভাবে ৫টি অর্থনৈতিক বিশেষ অঞ্চল স্থাপন করেছে; ১৯৮৪ সালে আবার ১৪টি উপকূলীয় শহর অর্থাত্ তালিয়েন, ছিনহুয়াংতাও, থিয়েনচিন, ইয়েনথাই, ছিংতাও, লিয়েনইয়ুনকাং, নানথোং, সাংহাই, নিংপো, ওয়েনচৌ , ফুচৌ, কুয়াংচৌ. চানচিয়াং ও পেইহাই শহর উন্মুক্ত করেছে ; ১৯৮৫ সালের পর থেকে আবার পর্যায়ক্রমে ইয়াংসি নদীর বদ্বীপ, মুক্তা নদীর বদ্বীপ, দক্ষিণ ফুচিয়েন বদ্বীপ, শানতোং উপদ্বীপ, লিয়াওতোং উপদ্বীপ, হোপেই প্র্রদেশ, কুয়াংসি অঞ্চলকে অর্থনৈতিক উন্মুক্ত অঞ্চলের মর্যাদা দিয়েছে,এইভাবে এক সুবিশাল উন্মুক্ত উপকূলীয় অর্থনৈতিক এলাকা গড়ে উঠেছে । ১৯৯০ সালে চীনসরকার সাংহাইয়ের ফুতোং নয়া এলাকা উন্মুক্ত করা এবং ইয়াংসি নদী বরাবর আরও অনেক শহর উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ফলে ফুতোংকে ড্রাগণের মাথা হিসেবে নিয়ে ইয়াংসিনদীর উন্মুক্ত এলাকা গড়ে উঠেছে । ১৯৯২ সালের পর থেকে আবার অনেকগুলো সীমান্ত শহর উন্মুক্ত করার এবং যাবতীয় স্থলবেষ্টিত প্রদেশ ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী শহর উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ; তাছাড়া অনেকগুলো বড় ও মাঝারী শহরে ১৫টি শুল্কমুক্ত এলাকা, ৪৯টি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের অর্থনৈতিক প্রযুক্তি উন্নয়ন এলাকা এবং ৫৩টি হাইটেক শিল্প উন্নয়ন এলাকা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । এইভাবে চীনে উপকূল, নদী অববাহিকা , সীমন্ত এলাকা ,এবং স্থলবেষ্টিত অঞ্চলের সমন্বিত সর্বাত্মক, বহু স্তর বিশিষ্ট, এবং ব্যাপক ও বহুমুখী উন্মুক্ততার কাঠামো গড়ে উঠেছে।
উপরোক্ত উন্মুক্ত অঞ্চলগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন সুবিধাদানের নীতি প্রবর্তিত হয় বলে বহির্মুখী অরর্থনীতির উন্নয়ন, রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, উন্নত প্রযুক্তি আমদানি ইত্যাদির দিক থেকে সেই সব অঞ্চল দেশের জানালা হিসেবে ভূমিকা পালন করেছে এবং চীনের অভ্যন্তরভাগের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ভূমিকাও পালন করেছে ।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|