হু সুন হুয়া

      চীনের বিখ্যাত কন্ঠশিল্পী হু সুন হুয়া ১৯৩০ আলে পেইচিংয়ের একটি মান জাতির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন । অল্প বয়সে তার গাওয়া ‘ সেনতেচিমা ’ ও ‘ সুফলনের গান ’ নামক দুটি গান থেকে তার গানের প্রতিভা দেখিয়ে দেয় , ১৯৫২ সালে হু সুন হুয়া চীনের কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু জাতি নৃত্যসংগীত দলে ভর্তি হন ।

  অল্পবয়সেই হু সুন হুয়া চীনের সংখ্যালঘু জাতির গান গাইতে পছন্দ করেন ।

  ১৯৫২ সালেবিরাটাকার সংগীত ও নৃত্য অনুষ্ঠান ‘ পূর্ব দিগন্ত লাল ’-এএকটি মঙ্গোলীয় জাতির গান গাওয়ার দায়িত্ব হু সুন হুয়াকে অর্পন করা হলো ।তৃণভূমির মঙ্গোলীয় জাতির পশুপালকদের সঙ্গেজীবনের অভিজ্ঞতা হু সুন হুয়ার আছে । তাই তিনি মঙ্গোলীয় জাতির পশুপালকদেরমনোভাব প্রকাশের পদ্ধতিতে ‘ প্রশংসার গান ’ নামে একটি মঙ্গোলীয় জাতির গান গান । এই গান লক্ষ কোটি দশর্কদের মধ্যে বিরাট আলোড়ন সৃষ্টি করেছে , আজ পর্যন্ত অনেকে এই গান গাইতে পছন্দ করেন , তাই এই গান স্বাভাবিকভাবেই হু সুন হুয়ার প্রতিনিধিত্বকারী গানে পরিণত হয়েছে ।

  হু সুন হুয়া অপেরা ‘ আইগুরি ’তে নায়ক আসহারের ভুমিকায় অভিনয় করেন , চীনের প্রথম সংগীত চলচ্চিত্র ‘ আসিমা ’-এ নায়ক আহেইয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং চীনেরপ্রয়াত বিখ্যাত সংগীতবিদ সি কুয়ান নানের সুর দেয়া চলচ্চিত্র ‘ রহস্যময় পান্না ’ -এ নায়ক তাকার গান গেয়েছেন এবং ‘ লেই ফোং ’ ও মাতৃভূমি , আমার মা ’ ইত্যাদি প্রায় ত্রিশটি ছায়াছবির গান গেয়েছেন ।

  ১৯৯২ সালে হু সুন হুয়া নিজের উদ্যোগে সংখ্যালঘু জাতির রীতিনীতি ও তাদের জীবন সম্পর্কিত একটি ছায়াছবি তৈরী করেন । ‘ হাজার মাইলের গান ’ নামে এই ছবিতে হু সুন হুয়া পরিচালক ,নায়ক ও গায়ক হিসেবে কাজ করেন । তার স্ত্রী , চীনের বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী চান মান রু এই ছায়াছবির প্রযোজক । এই ছবি চীনের সংখ্যালঘুজাতির শিল্পকলা ও রীতিনীতি চিত্রিত হয়েছে ।

  বহু বছর ধরে হু সুন হুয়া চীনের ৪০টিরও বেশি সংখ্যালঘু জাতি অধুষিত অঞ্চলে গিয়ে স্থানীয় শিল্পীদের সঙ্গে আলাপ করেন এবং ধীরে ধীরে নিজের গান পরিবেশনের বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করেন ।

   হু সুন হুয়ার প্রতিনিধিত্বকারী গান হলো :《প্রশংসার গান 》、《একটি টাটকা ফুল 》ইত্যাদি  

  [ হু সুন হুয়ার গাওয়া গান ]《প্রশংসার গান 》