লিয়াও ছাং ইয়োং হচ্ছেন বিশ্বঅপেরা মঞ্চে তত্পর চীনের অল্প কয়েকজন কন্ঠশিল্পীর অন্যতম ।
লিয়াও ছাং ইয়োংবিখ্যাত সংগীতবিদ চৌ সিয়াও ইয়েন ও গায়কলো উয়ের কাছ থেকে গান শিয়েছেন । ১৯৯৫ সালে লিয়াও ছাং ইয়োংসাংহাই সংগীত ইন্সটিটিউট থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি পান ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে লিয়াও ছাং ইয়োংবার বার আন্তর্জাতিক পুরস্কার পান । ১৯৯৬ সাল থেকে ১৯৯৭ সালের এক বছরে লিয়াও ছাং ইয়োং ফ্রান্সের ৪১তম তুরুজ আন্তর্জাতিক সংগীত প্রতিযোগিতা , আন্তর্জাতিক প্লেসিদো ডোমিগো অপেরা প্রতিযোগিতা আর নরওয়ের রানী সোংজা আন্তর্জাতিক সংগীত প্রতিযোগিতায় প্রথম শ্রেণীর পুরস্কার পান । তার এই সাফল্য বিশ্ব সংগীত মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে । বিশেষ করেআন্তর্জাতিক ডোমিগো অপেরা প্রতিযোগিতায় লিয়াও ছাং ইয়োং যে শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন , তা’ এই প্রতিযোগিতায়এশিয়ার কন্ঠশিল্পীদের পুরস্কার জয়ের শুন্যতা পূরণ করেছে । বিশ্ববিখ্যাত কন্ঠশিল্পী প্লেসিদো ডোমিগো লিয়াও ছাং ইয়োংয়ের প্রশংসা করে বলেছিলেন , লিয়াও ছাং ইয়োং হচ্ছেন তারপরিচিত সর্বশ্রেষ্ঠ বারিটোন কন্ঠশিল্পী । তারগম্ভীর স্বর ও গান পরিবেশনের চমত্কার নৈপুন্য অতুলনীয় ।এই প্রতিযোগিতার প্রথম শ্রেণীর পুরস্কার সাধারণতঃ ইউরোপ ও আমেরিকার কন্ঠশিল্পীরা পেতেন ।
গত কয়েক বছরে লিয়াও ছাং ইয়োং পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় গান পরিবেশন করেন । তিনি যুক্তরাষ্ট্র , ফ্রান্স , জাপান , অষ্ট্রেলিয়া , বৃটেন , সুইডেন ,নরওয়ে , জামার্নী ও রাশিয়া প্রভৃতি দেশেরশিল্পী ও বাদক দলের সঙ্গে সহযোগিতা করে গান পরিবেশন করেছেন । বিশ্ববিখ্যাত ওয়াশিংটন অপেরা থিয়েটারেগান পরিবেশনকারী চীনের প্রথম কন্ঠশিল্পী হিসেবে লিয়াও ছাং ইয়োং যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি কেন্দ্রের ২০০০ সালের অভিনয় ঋতুতে ডোমিগোর সঙ্গে মিলে ভারদির অপেরা ‘ ট্রোভাটর ’ পরিবেশন করেন । তাদের পরিবেশনা দেখে দশর্করাগভীরভাবে মুগ্ধ হন । ‘ ওয়াশিংটন পোষ্ট পত্রিকার ’ একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে , যুক্তরাষ্ট্রের অপেরা থিয়েটারে বিভিন্ন দেশেরশ্রেষ্ঠ কন্ঠশিল্পী গান পরিবেশন করেন , তাদের মধ্যেসবচেয়েউজ্জ্বল তারকা হচ্ছেন চীন থেকে আসা লিয়াও ছাং ইয়োং । ভারদি অপেরার প্রতি তার নিখুঁত উপলব্ধি উপস্থিত সকলকে মুগ্ধ করেছে । লিয়াও ছাং ইয়োং ভারদি অপেরার একজন প্রতিভাবান কন্ঠশিল্পী , তার সুগম্ভীর স্বর ও শ্বাস নিয়ন্ত্রনের নৈপুন্য কেনেদি কেন্দ্রের দশর্কদের মন জয় করেছে । আমরা দৃঢভাবে বিশ্বাস করি চীনের এই অতুলনীয় কন্ঠশিল্পী বিশ্ব অপেরা মঞ্চের এক সবচেয়ে তারকায় পরিণত হবেন ।
১৯৯৮ সালের প্রথম দিকে ডোমিনগোর আমন্ত্রনে লিয়াও ছাং ইয়োং ও ডোমিনগো জাপানের রাজধানী টোকিওতে নববর্ষ উপলক্ষে একটি সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন । একই বছর তিনি জোসে কাররেসের সঙ্গে নবনির্মিত সাংহাই থিয়েটারে একটি সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন । তার কিছু দিন পর লিয়াও ছাং ইয়োং নিউইয়র্কের কার্নেগি হোলে অপেরা ‘ মেরিয়া স্টুয়াদা ’ পরিবেশন করেন । তার গান শুনে নিউইয়র্কের দর্শকরা আরেক বার মুগ্ধ হলেন । তারা বলেছেন , লিয়াও ছাং ইয়োং হচ্ছেন এই কয়েক বছরে তাদের সবচেয়ে প্রিয় বারিটোন কন্ঠশিল্পী ।
বিশ্ববিখ্যাত কন্ঠশিল্পী ডোমিনগোর সবচেয়ের প্রিয় ছাত্র হিসেবে লিয়াও ছাং ইয়োং ডোমিনগোর আমন্ত্রনে পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন । ২০০১ সালে তারা দুজন কেনেদি কেন্দ্রে অফেনবাচের অপেরা ‘ হোফমানের কাহিনী ’ পরিবেশন করেন । ২০০২ সালে ডোমিনগোর আমন্ত্রনে লিয়াও ছাং ইয়োং ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ডোমিনগোরঅপেরা প্রতিযোগিতার দশম বাষির্কীর অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন , একই বছরনিউইয়র্কের কারনেগি হোলের আমন্ত্রনে লিয়াও ছাং ইয়োং একটি একক সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেন ।
বতর্মানে লিয়াও ছাং ইয়োং সাংহাই সংগীত ইন্সটিটিউটের প্রফেসার ও গান বিভাগের প্রধান ।
[
লিয়াও ছাং ইয়োংয়ের গাওয়া গান
]:
《ব্যস্ত ব্যক্তিদের জন্য পথ ছাড়ো 》 (অপেরা‘ সারভিয়ার নাপিত ’ থেকে নির্বাচিত)
|