বিখ্যাত গায়িকা থাংছান হুনান প্রদেশের চুচৌ শহরের নাগরিক । তিনি উহান সঙ্গীত ইনস্টিটিউটে লোকসঙ্গীত শিখেছেন । স্নাতক হওয়ার পর তিনি চীনা নৃত্য-গান দলে ভর্তি হয়ে একক কন্ঠ-শিল্পী হয়েছেন । সপ্তম জাতীয় যুব গায়কগায়িকা টিভি-কাপ প্রতিযোগিতার পেশাদার লোকসঙ্গীতের ফাইনালে থাংছান শ্রেষ্ঠ গায়িকা পুরস্কার পেয়েছেন । পঞ্চম“খাংচিয়া কাপ”নামক চীনা সঙ্গীত টিভি প্রতিযোগিতায় থাংছান “স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হয়েছে ”নামে একটি গান গেয়ে রৌপ্যপদক পেয়েছেন । একই প্রতিযোগিতায় তার গাওয়া “ জেলে পরিবারের মেয়ে ” ব্রোন্জপদক পেয়েছে আর “এমন এক সময় ছিল ” গানটি চমত্কার পুরস্কার পেয়েছে ।
১৯৯৮ সালের গ্রীস্মকালে চীনের আংশিক অঞ্চল ইতিহাসের নজিরবিহীন বন্যায় কবলিত হয়েছে । “ লক্ষ কোটি মানুষ ঐক্যবদ্ধ হও”শিরোনামে চীনের সিসিটিভির বিরাটাকারের দাতব্য সান্ধ্যানুষ্ঠানে অংশ নেয়া ছাড়া থাংছান হুনান,হুপেই,চিয়াংসি প্রভৃতি প্রদেশের বন্যা প্রতিরোধ ও ত্রান বিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন এবং স্বয়ং বন্যা প্রতিরোধ ফ্রন্টে গিয়ে অর্থ ও সামগ্রী দান করেন । তিনি নিজের খরচে“বীরদের প্রশংসার গান”নামক এম-টিভি প্রয়োজন করেন । এম টিভিটিতে তিনি গানের মধ্য দিয়ে বন্যা প্রতিরোধকারী বীরদের প্রতি সারা দেশের জনগণের সম্মানসূচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন । এম টিভিটি সিসিটিভিতে বারবার সম্প্রচারিত হওয়ার পর ভালপ্রতিক্রিয়া জাগিয়ে তুলেছে ।
নিজের নৃত্য-সঙ্গীত দলের নানা তত্পরতায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে থাংছান নানা ধরণের বিরাটাকারের সান্ধ্যানুষ্ঠান এবং বিভিন্ন মহলের সমাজ কল্যানমূলক তত্পরতায়ও অংশ নেন । তিনি সিসিটিভির “হ্নদয়ে হ্নদয়ে”দলের সঙ্গে হুয়াই আন,খুনমিং,লাসা প্রভৃতি পুরানো অঞ্চল,সংখ্যালঘূজাতি অধ্যূষিত অঞ্চল , প্রত্যন্ত সীমান্ত এলাকা আর দরিদ্র এলাকায় গিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পরিবেশন করেছেন । তিনি পেইচিং রাজধানী স্টেডিয়াম, শ্রমিক স্টেডিয়ামে আয়োজিত “ আশা প্রকল্প ”নামের কল্যাণমূলক পরিবেশনায় যোগ দিয়েছেন এবং স্কুলচ্যুত ছেলেমেয়েদের সাহায্য করার জন্যে অর্থ ও সামগ্রী দান করেছেন ।
১৯৯৯ সালে সিসিটিভির নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত সান্ধ্যানুষ্ঠানে থাংছান বিখ্যাত গায়ক হোফ্যানের সঙ্গে যৌথকন্ঠে “ এক চমত্কার শুরু ”নামের গান গেয়েছেন । শ্রোতাদের সমাদৃত চীনা গানের নামের তালিকায় প্রায়ই থাংছানের স্থান রয়েছে । ২০০০সালে নতুন শতাব্দী ও নতুন সহস্রাব্দী উপলক্ষে আয়োজিত সান্ধ্যানুষ্ঠানে এবং ২০০০ সালের বসন্ত উত্সবের সান্ধ্যানুষ্ঠানে থাংছান আর একবার “এক চমত্কার শুরু” গানটি গেয়েছেন এবং সমাজের বিভিন্ন মহলের সমাদর পেয়েছেন ।
নয়া চীনের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনী অনুষ্ঠানে থাংছান বিখ্যাত সুরকারমোং ছিংইয়ুনের “মাতৃভূমিকে শুভেচ্ছা ”গানটি গেয়েছেন । গানটি এম-টিভিতে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে । এতে বিখ্যাত চলচ্চিত্র-পরিচালক চাং ইমো অংশ নিয়েছেন , তিনি থাংছানের প্রতিভা ও প্রচ্ছন্ন শক্তির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন । “ মাতৃভূমিকে শুভেচ্ছা ” এম টিভিটি বিভিন্ন প্রদেশ ও মহানগরের টেলিভিশন-কেন্দ্রে সম্প্রচারিত হওয়ার পর তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি করে । নয়া চীনের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত “ দেশ এত সুন্দর ” নামের সান্ধ্যানুষ্ঠানে থাংছান বিখ্যাত গায়ক উ ইয়েনচের সঙ্গে মিলে গানটি গেয়েছেন ।তাছাড়া থাংছান হুনান , হুপেই ,চেচিয়াং , সাংহাই , কুয়াংসি , সানতুঙ , চিয়াংসি প্রভৃতি প্রদেশ বা মহানগরের নয়া চীনের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সান্ধ্যানুষ্ঠানেও গানটি গেয়েছেন ।
“মাতৃভূমিকে শুভেচ্ছা ” গানটি নয়া চীনের ৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গান রচনার প্রতিযোগিতায় চমত্কার পুরস্কার পেয়েছে । একই সময় গানটি চীনের টেলিভিশনের সোনালী ইগল উত্সবের এম-টিভির স্বর্ণ পুরস্কার লাভ করেছে ।
২০০০ সালে সিসিটিভির “সাপ্তাহিক গানের ” আসরে থাংছানের গাওয়া যুব সুরকার ফুকের “দীর্ঘস্থায়ী সুখী জীবন ”নামকএম টি ভি সম্প্রচারিত হওয়ার পর ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে । তিনি যে আধুনিক পদ্ধতিতে লোকসঙ্গীত গানটি গেয়েছেন সবাই সেটিকে নতুন লোকসঙ্গীত,নতুন প্রয়াস ও নতুন অবদানের এক সেরা গান বলে প্রশংসা করেন । সংবাদমাধ্যমগুলো থাংছানকে “নতুন লোকসঙ্গীতের প্রতিনিধি ”বলে আখ্যায়িত করে । পরে থাংছান “ জন্মস্থান সুন্দর ” গানটি গেয়েছেন । গানটি “দীর্ঘস্থায়ী সুখী জীবন” গানটির পর থাংছানের গাওয়া আর-একটি সেরা গান ।এটি “ দীর্ঘস্থায়ী সুখী জীবন ” গানটির সঙ্গী বলে আখ্যায়িত হয় ।
২০০১ সালে থাংছান চীনা বেতার , চলচ্চিত্র , টেলিভিশন সাধারণ ব্যুরোর আয়োজিত শ্রোতাদের পছন্দনীয় গায়ক শিরোনামে প্রথম জাতীয় “স্বর্ণ বিউগল পুরস্কার ” ও চীনা বেতারের শিল্পকলা পুরস্কার—দশজন সেরা গায়ক পুরস্কার পেয়েছেন ।
[
সঙ্গীত উপভোগ
]:
《মাতৃভূমিকে শুভেচ্ছা 》
|