পিয়াও তুঙশেন ১৯৩৪ সালে চীনের লিয়াওনিং প্রদেশের শেনইয়াং শহরে জন্মগ্রহণ করেন । ১৯৪৯ সালে তিনি চারুশিল্প কর্ম শুরু করেন । এর পর তিনি উত্তর-পূব লুস্যুন সাহিত্য ও চারুশিল্প ইনস্টিটিউটে লেখাপড়া করেন । তিনি একদা কেন্দ্রীয় নৃত্য-সঙ্গীত দলের কন্ডাক্টর, চীনা অডিও-ভিডিও প্রকাশনালয়ের প্রধান ছিলেন । এখন তিনি চীনের জাতিসত্তা অর্কিস্ট্রাল সঙ্গীত সমিতির সভাপতি,চীনের অডিও-ভিডিও সমিতির উপপরিচালক,সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের চারুশিল্প ক্ষেত্রের যোগ্যতা যাচাই কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের চারুশিল্প ক্ষেত্রের উচ্চ প্রকৌশলী পদবী যাচাই কমিটির সদস্য,একই মন্ত্রনালয়ের চারুশিল্প মান যাচাইকারী বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য আর চীনের কপিরাইট গবেষণা সমিতির সদস্য ।
পঞ্চাশাধিক বছরের সঙ্গীত জীবনযাপনে পিয়াও তুঙশেন প্রধানত জাতিসত্তা অকর্কিস্ট্রাল সঙ্গীত দলে কন্ডাক্টর ছিলেন । তিনি প্রথম চীনা চারুশিল্প উত্সবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজার লোকের “চীনাজাতির মহা সঙ্গীত ”পরিবেশনায় কন্ডাক্টর হন । তিনি পরপর আমন্ত্রিত হয়ে তাইপেই শহরের জাতীয় সঙ্গীত দল ,সরকারী বিশেষ চারুশিল্প বিদ্যালয়ের পরীক্ষামূলক জাতীয়সঙ্গীত দল, কাউস্যুং শহরের জাতীয়সঙ্গীত দলের অতিথি কন্ডাক্টর হয়েছিলেন । তিনি আমন্ত্রিত হয়ে হংকংয়ের চীনা সঙ্গীত দল এবং সিঙ্গাপুরের চীনাসঙ্গীত দলের অতিথি কন্ডাক্টর হয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় জাতিসত্তা সঙ্গীত দল,চীনা সঙ্গীত নৃত্যনাট্য ইনস্টিটিউটের জাতীয় সঙ্গীত দল , ছেনতু জাতিসত্তাসঙ্গীত দল প্রভৃতি সঙ্গীত দলের অতিথি ও বিশেষ কন্ডাক্টর হয়েছিলেন এবং কেন্দ্রীয় নৃত্য সঙ্গীত দল সহ বেশ কয়েকটি দল নিয়ে দশ-বারোটি দেশ ও অঞ্চল সফর করেছেন । তিনি অনেক চলচ্চিত্র ও টিভি-নাটকের থিম গাণের কন্ডাক্টর ছিলেন ।
কন্ডাক্ট করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি জাতিসত্তা সঙ্গীত রচনা ও সঙ্গীত তত্ত্বের গবেষার কাজও করেন । তিনি পরপর জাতিসত্তা সিন্ফোনি“পিওনি-দেবীর রূপকথা”,জাতিসত্তা অর্কিস্টাল সঙ্গীত “চিয়াংসু প্রাদেশিক লোকসঙ্গীত ”,“সূযালোকে মিয়াওজাতি ”,“আলিশান পাহাড়ের রূপরেখা ”,সোনার সুর “সমারোহে বিজয় উদযাপন ”,“তৃণভূমিতে”শিরোনামে আরহু সুর,“চীনাজাতির প্রশংসার গান”এবং নৃত্য-সঙ্গীত সহ প্রায় শতাধিক সুর তৈরী করেছেন । তিনি সিঙ্গাপুর,তাইওয়ান ও পেইচিংয়ে“স্বরচিত সঙ্গীতানুষ্ঠানের”আয়োজন করেছেন । বহুবছর ধরে তিনি“গণ সঙ্গীত”,“সাপ্তাহিক সঙ্গীত ”প্রভৃতি পত্রিকায় ভাষ্য ও একাডেমিশিয়ান প্রবন্ধ প্রকাশ করেছেন এবং “সঙ্গীত দল পরিচালনা করার পদ্ধতি ”ও “কন্ডাক্টের প্রবেশদ্বার ”নামের দুটি বই এবং“ড্রাগনের দেশের আনন্দ-চেতনা”শিরোনামে সংকলন প্রকাশ করেছেন ।
১৯৯৩ সালে তিনি চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ে বিশেষ অবদানসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ নিবাচিত হয়ে সরকারের দেয়া বিশেষ ভর্তুকি উপভোগ করেন ।