ছিয়াও ইয়ু ( ১৯২৭--):চীনের বিখ্যাত গাণের রচয়িতা।
ছিয়াও ইয়ু ১৯২৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন । তিনি চিনের সানতুঙ প্রদেশের চিনিং শহরের লোক ।তার আগের নাম ছিল ছিংপাও । তিনি চীনের বিখ্যাত গানের রচয়িতা । তিনি গীতিকার মঞ্চের যুবরাজ নামে পরিচিত ।
১৯৪৬ সালে তিনি চীনের পেইফাং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকলা ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন । তিনি হুয়াপেই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি নাটক তৈরীর কাজে অংশ নিয়েছিলেন ।
১৯৪৯ সালে নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি চীনের কেন্দ্রীয় নাটক ইনস্টিটিউট,চীনা নাট্যকার সমিতি, সাংস্কৃতিক মন্ত্রনালয়ের নাট্য রচনা অফিসের নাট্যকার ছিলেন ।
১৯৭৭ সালের পর তিনি চীনা অপেরা ও নৃত্য-নাটক হাউসের উপপরিচালক,পরিচালক,চীনা নাট্যকার সমিতির চতুর্থ পরিষদের সদস্য,চীনা সঙ্গীত-সাহিত্য সমিতির চেয়ারম্যান,চীনা আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান কেন্দ্রের সদস্য এবং অষ্টম জাতীয় রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের সদস্য ছিলেন ।
ছিয়াও ইয়ু যুগের সঙ্গে তাল রেখে গান রচনা করেন । গেল শতাব্দীর ৫০-এর দশকে তিনি “ লিউ সানচে ”, “ লাল ছেলেমেয়েরা ” চলচ্চিত্রের কাহিনী লিখেছেন । তিনি “ আমার মাতৃভূমি”, “ পিওনি ফুলের গান ”, “সবাই সানসির সুন্দর দৃশ্যের প্রশংসা করে” , “আসুন, আমরা নৌকার দুটো দাঁড় টানি“প্রভৃতি গাণের কথা রচনা করেছেন । আশির দশকে চীনে সংস্কার ও উন্মুক্তদ্বার নীতি চালু হওয়ার পর ছিয়াও ইয়ু “মনের গোলাপী ফুল ”,“আজকের সন্ধ্যাবেলা ভুলে যাবে না ”,“ভাবনা ”,“লিয়াওচাইর কাহিনী বলা ”,“উশান পাহাড়ের দেবী ”,“সন্ধ্যাসূয ”,“আমাদের চীন জাতিকে ভালবাসো ”,“মাতৃভূমির প্রশংসার গান ”প্রভৃতি গানের যে কথা লিখেছেন সেগুলোতে সম সাময়িক কালে চীনা জনগণের মনের আকাঙক্ষা ব্যক্ত হয়েছে । তাইতার রচনাগুলো ব্যাপক সমাদর পেয়েছে ।
ছিয়াও ইয়ুর প্রধান রচনাগুলো হল : “ আমার মাতৃভূমি ”, “সবাই সানসির সুন্দর দৃশ্যের প্রশংসা করে ”, “ আসুন আমরা নৌকার দুটো দাঁড় টানি ” , “ মনের গোলাপী ফুল ”, “ আজকের সন্ধ্যাবেলা ভুলে যাবে না ”, “ আমাদের চীনাজাতিকে ভালবাসো ”ইত্যাদি ।
[
সঙ্গীত উপভোগ
]:
《আমাদের চীনাজাতিকে ভালবাসো》
|