কাও ওয়েইচিয়ে

       কাও ওয়েইচিয়ে চীনের বিখ্যাত সুরকার , ১৯৬০ সালে তিনি সিছুযান সঙ্গীত ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক হন । তিনি ইনস্টিটিউটের সুর বিভাগের পরিচালক,চীনা সঙ্গীত ইনস্টিটিউটের সুর বিভাগের পরিচালক আর <গণ সঙ্গীত > পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন ।

   ১৯৮৩ সালে কাও ওয়েইচিয়ে চীনের প্রথম আধুনিক সঙ্গীত গোষ্ঠী “ সুরকারের রচনা গবেষনা সমিতি” প্রতিষ্ঠা করেন এবং সমিতির চেয়ারম্যান হন । তিনি এখন চীনা সঙ্গীত ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ,কেন্দ্রীয় সঙ্গীত ইনস্টিটিউটের অধীনস্থ সঙ্গীত বিদ্যা গবেষনালয়ের গবেষনা-প্রকল্পের বিশেষ পরিচালক ,ইয়েনবিয়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি প্রফেসর ,যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সঙ্গীত ইনস্টিটিউটের অতিথি প্রফেসর ,< চীনা সঙ্গীত > ও <চীনা সঙ্গীত বিদ্যা> পত্রিকার সম্পাদক ।  

   তার রচিত সঙ্গীত দেশবিদেশে পরিবেশিত ও প্রকাশিত হয়েছিল এবং দেশবিদেশে নানা ধরনের পুরস্কার পেয়েছে ।তার রচিত প্রধান প্রধান সঙ্গীতের মধ্যে আছে , সিম্ফনি গাঁথা<তৃণভূমির অতীতকাল>, ঐতিহ্যগত রঙ্গালয় বাদ্যযন্ত্রের সুর <সিছুযান রাজপ্রাসাদের নৈশভোজ>, পিয়ানো সুর < শরতকালের রাত>,ডাবল চীনা দোতারাআরহু ও রঙ্গালয় বাদ্যযন্ত্রী দলের <পাইমা সম্পর্কে ধারনা > , ঐতিহ্যগত ইন্ডোর সঙ্গীত < বসন্ত রাতে লোইয়া শহরে বাঁশি শোনা >, বাঁশের বাঁশি ও লম্বা বাঁশির <স্বপ্নে মিলনের ভাগ্য > , লোকসঙ্গীতের ইন্ডোর সঙ্গীত <সাও ১ > ও <সাও ২ > । বেহালা ও পিয়ানোর সুর<পথ> , নৃত্য-নাটক সঙ্গীত<খোলা মাঠ>, নৃত্য কবিতা-সঙ্গীত <দিনের ভাবনা >, পিয়ানো কনসার্ট < প্রত্যাবর্তন >, বাঁশি ও রঙ্গালয় বাদ্যযন্ত্রী দলের বাজানো < স্বপ্নে বিদায় জানানো>, আনদ্ধ বাদ্যযন্ত্রী অথবা পার্কুশনিস্ট ও রঙ্গালয় বাদ্যযন্ত্রীদলের বাজানো < স্বপ্ন থেকে দূরে থাকা > ইত্যাদি ।  

  শিক্ষক হিসেবে কাও ওয়েইচিয়ে চল্লিশাধিক বছর ধরে বিপুল সংখ্যক সঙ্গীত লালনপালন করেছেন, তার অনেক ছাত্রছাত্রী দেশবিদেশের সুরারোপ প্রতিযোগিতায় পুরস্কার পেয়েছেন , এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন উল্লেখযোগ্যব্যক্তি । যেমন ছু সিয়াওসোং , হ্য সুন-থিয়েন , চিয়া তাছুন, চু সিরুই, থাং ছিংসি প্রমুখ বিশ্ববিখ্যাত সুরকার ,তত্ত্ববিদ বা শিক্ষক হয়েছেন ।তিনি আমন্ত্রিত হয়ে নিউজিল্যান্ড, দক্ষিন কোরিয়া , ফ্রান্স, বৃটেন , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , নেদারল্যান্ড ,মেক্সিকো আর তাইওয়ান ও হংকং প্রভৃতি দেশ ও অঞ্চল সফর করেছিলেন, সেখানে একাডেমীক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন ,সঙ্গীত দিবস পালন করেছিলেন, অধ্যাপনা করেছিলেন এবং প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন। তিনি আমন্ত্রিত হয়ে চীনেরচতুর্থ, ষষ্ঠ ও অষ্টম সঙ্গীত রচনা প্রতিযোগিতার বিচারক হয়েছিলেন , সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের প্রথম সাসংকৃতিক শিল্পকলা ও বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ সাফল্যের পুরস্কারের বিচারক এবং দ্বিতীয় “স্বর্ণ ঘড়ি” পুরস্কারেরবিচারক হয়েছিলেন । তিনি চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের বিতরণ করা বিশেষ সরকারী ভাতা উপভোগ করেন ।তার জীবনী ব্রিটেনেরক্যামব্রীজের <আন্তর্জাতিক সঙ্গীত ও বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ সম্পর্কে অভিধান> প্রভৃতি পুস্তকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে ।  

  [ সঙ্গীত উপভোগ ]《স্বপ্নে মিলনের ভাগ্য》