ঢাক হচ্ছে চীনে নিত্য ব্যবহৃত এক রকম মারার বাদ্যযন্ত্র । অনেক বছর আগে এর উদ্ভব হয় । বর্তমান উদ্ধারকৃত পুরাকীর্তি থেকে দেখা যায় , ঢাকের ইতিহাস প্রায় ৩ হাজার বছর পুরনো । প্রাচীনকালে ঢাক যেমন বলিদানের অনুষ্ঠনেআর সংগীতে ও নাচে ব্যবহার করা ছাড়াও শত্রুদের উপর আঘাত হানা ,জঘন্য জীবজন্তু তাড়িয়ে দেয়া এবং সময় ঘোষণা আর সতর্কবাণী উচ্চারণেরকাজেও হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হতো । সমাজের বিকাশের সংগে সংগে ঢাকের ব্যবহার আর ব্যাপক হয় । জাতীয় বাদ্যযন্ত্রদল, বিভিন্ন অপেরা , কথাশিল্প , নাচগান , নৌকা বাইচ , সিংহের নাচ , উদযাপনী জনসমাবেশ আর শ্রমের প্রতিযোগিতায় ঢাক একটি অত্যাবশক বাদ্যযন্ত্রে পরিণত হয় । ঢাকের গঠন সহজ । ঢাকের চামড়া আর গা দিয়ে গঠিত । ঢাকের চামড়া হচ্ছে তারআওয়াজ বের হোয়ার পাত্র। সাধারণত একটি ফ্রেমের উপর পশুর চামড়া বাঁধানো হয় । ঢাক মেরে চামড়ার স্পন্দন হয় এবং সুর বের হয় ।
চীনের ঢাক জাতীয় বাদ্যযন্ত্রের প্রকার সংখ্যা খুব বেশি । তার মধ্যে কোমরে বাঁধা ঢাক , বড় ঢাক , থুং ঢাক আর হোয়া ফেন ঢাক রয়েছে ।কোমরে বাঁধা ঢাকের মাঝখানটা মোটা এবং দুই প্রান্ত সরু । দুই প্রান্ত গরু বা ঘোড়ার চামড়া দিয়ে ঢাকা আছে । ঢাকের এক পাশে লাগানোরয়েছে দুটো রিং । ঢাক বেঁধ রাখার জন্যে রিংয়ের সংগে দড়ি লাগানো হয় । কোমরে বাঁধা ঢাক ছোট বড় চার ধরণের রয়েছে। তা দিয়ে বাজানো সুর পরিষ্কার । তা প্রায় জনসাধারণের নাচ গানে ব্যবহার করা হয় তা যেমন নাচ আর সংগীতের সহযোগী বাদ্যযন্ত্র, তেমনি নৃত্যশিল্পীদের একটি হাতিয়ারো বটে । অভিনয়ের সময়ে শিল্পীরা ঢাককে কোমরে রেখে দুই হাত দিয়ে হাতল ধরে ঢাক মারেন ।
[
সুরের উপভোগ
]: 《লাওহু মোওইয়া 》
|