কুয়ান চি হচ্ছে ফুঁস দিয়ে বাজানো একটি বাদ্যযন্ত্র । এর ইতিহাস অত্যন্ত পুরনো । প্রাচীন পারস্য অর্থাত আজকের ইরানে কুয়ান চির উদ্ভব হয় । চীনের প্রাচীনকালে তাকে “ পিলি” বা “লু কুয়ান” বলে ডাকা হত । দু হাজারের বেশি বছর আগেকার পশ্চিম হান রাজবংশের আমলে চীনের সিনচিয়াং অঞলে কুয়ান চির ব্যাপক প্রচলন হয় । পরে মধ্য চীনে তার প্রচলন হয়। পরিবর্তন আর বিকাশের মাধ্যমে তা বাজানোর কলাকৌশল অনবরত সমৃদ্ধি আর বিকাশ লাভ করে । বর্তমানে চীনের জনসাধারণের মধ্যে কুয়ান চি ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে এবং উত্তর চীনের জনগণের মধ্যে নিত্য ব্যবহার্য্য বাদ্যযন্ত্রে পরিণত হয়েছে ।
কুয়ান চির সুরের মাত্রা বিরাট । সুর উদাত্ত আর উজ্জল । এর প্রবল গ্রামীন আমেজ রয়েছে । কুয়ান চির গঠন সহজ । তা পাইপ ওইস্টল, নল ইত্যাদি তিনটি ভাগ নিয়ে গঠিত । কুয়ান চির ব্যবহার খুবই ব্যাপক । তা দিয়ে একক , সমবেত এবং সহযোগীভাবে বাজানো যায় । বিশেষ করে উত্তর চীনের কতিপয় বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে কুয়ান চি হচ্ছে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফুঁস দিয়ে বাজানো বাদ্যযন্ত্র । কুয়ান চি বাজানোর কলাকৌশল অত্যন্ত সমৃদ্ধ । প্রায় ব্যবহূত স্পন্তনসুর , পিছিল সুর জীবের সুর ছাড়াওআর দাঁতের সুর প্রভৃতি রয়েছে । অংগুলির কলাকৌশল ছাড়া মুখের মধ্যে পাইপ ওইস্টলকে কত গভীরে রাখা হয় , তা কুয়ান চির সুরের উচ্চতা আর নীচুতা নির্ধারণ করে থাকে । বাজানোর সময়ে মুখের পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে মানুষের আওয়াজ আর জীবজন্তুর ডাক অনুকরণ করর যায় ।
কুয়ান চির প্রকার সংখ্যা বেশি । তা বাজানোর কলাকৌশল অত্যন্ত সমৃদ্ধ । কুয়ান চির মধ্যে রয়েছে ছোট কুয়ান , মাঝারি কুয়ান , বড় কুয়ান , দৈত্য কুয়ান আর চাবিযুক্ত কুয়ান ইত্যাদি ।
এককভাবে বাজানো “ সিয়াও খাই মেন” নামক কুয়ান চির সুর সাবলীল আর হালকা । চীনের স্থানীয় অপেরায় মাঝে মধ্যে চরিত্রদের কাপড় পরা আর হাটার দৃশ্যের জন্যে কুয়ান চি সহযোগী বাজানোর ভূমিকা পালন করে ।
[
সুরের উপভোগ
]: 《 সিয়াও খাই মেন
》
|