সিপিলি

       সিপিলি হচ্ছে চীনের কোরিয় জাতির মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত এক রকম লোক বাদ্যযন্ত্র । প্রধানত চীনের চিলিন প্রদেশের ইয়ান পিয়ান কোরিয় জাতির স্বায়তশাসিত বিভাগ এবং অন্যান্য কোরিয় জাতি অধ্যুষিত এলাকায় এর প্রচলন হয়। সিপিলির আওয়াজ উদাত্ত আর সুর উচ্চ ও মহিমাময় । তার কোরিয় জাতির বৈশিষ্ট্য খুবই লহ্মনীয় ।  

  সিপিলির ইতিহাস অত্যন্ত পুরনো । তার পূর্বপুরুষ ছিল প্রাচীন পিলি । সিপিলি পাইপ ওইসট্ল আর নলের গা দিয়ে গঠিত । পাইপ ওইস্টলের দৈর্ঘ্য ৪ সেন্টিমিটার । তা কঠিন খোসা ছাড়া কাশ দিয়ে তৈরি হয় । নলের গা সরু বাঁশের নল দিয়ে তৈরি হয় । তার দৈঘ্য ২০থেকে ২৫ সেন্টিমিটার । তার ব্যাস প্রায় ১ সেন্টমিটার । সামনের পিঠে কাটা রয়েছে ৭টি সুরের গর্ত । পেছনের পিঠে আছে একটি উচ্চকণ্ঠের গর্ত ।  

  সিপিলি বাজানোর উপায় অধিকাংশ বাজানো বাদ্যযন্ত্রের মতই । বাজানোর সময়ে নলের গা সোজা রাখতে হবে । মুখের মধ্যে পাইপ ওইস্টল রাখতে হবে । শিল্পীরা বাম হাত দিয়ে পেছনের পিঠের উচ্চকণ্ঠের গর্ত আর সামনের পিঠের ৩টি গর্ত চেপে ধরেন এবং ডান হাত দিয়ে সামনের পিঠের অন্য ৪টি গর্ত চেপে ধরেন ।  

  সিপিলি উচ্চকণ্ঠের , মধ্যমকন্ঠের আর দ্বৈতকন্ঠের পিলিতে বিভক্ত । এঐতিহ্যবাহী উচ্চকণ্ঠের পিলি কেবল এক ধরণের সুর বাজাতে পারে । পরে বাদ্যযন্ত্রের নির্মাতারা সিপিলির ষষ্ঠ গর্তের ডান উপর কোণে আর একটি গর্ত কাটেন এবং এই বাদ্যযন্ত্রের সুরের হ্মেত্র দুটো অষ্টক ধ্বনিতে উন্নীত হয় আর সুর পরিবর্তনের সামর্থ্য থাকা সম্ভব হয় । মধ্যমকন্ঠের সিপিলির সামর্থ্য উচ্চকন্ঠের সিপিলির কাছাকাছি । পার্থক্য হচ্ছে এই যে , মধ্যমকন্ঠের সিপিলি উচ্চকন্ঠের সিপিলির চেয়ে ১ অষ্টক ধ্বনি নীচু । এই দুটোর তুলনায় দুই নলের সিপিলি একই মাত্রা আর একই কন্ঠের দুটো উচ্চকন্ঠের সিপিলিকে সারিবদ্ধভাবে সংযুক্ত করা হয়। প্রতিটি পিলির গায় বসানো রয়েছে পাইপ ওইস্টল । বাজানোর সময়ে যমন একক নল দিয়ে একক সুর বাজানো যায় , তেমনি মুখে দুটো পাইপ ওইস্টল রেখে একই কন্ঠের দুটো সুর বাজানো যায় । তাছাড়া দুই নলের সিপিলি দিয়ে ৩ ডিগ্রি, ৪ ডিগ্রি আর ৫ ডিগ্রর সমবেত সুর বাজানো যায় । এই সুরের মাত্রা একক নলের সিপিলির চেয়ে অনেক বড় । তার সুর শ্রুতিমধুর আর পরিষ্কার এবং বাজাসোর কলাকৌশলো একটু কঠিন ।  

  [ সুরের ভোগ ]《মাঠের সুর 》