আর হু হচ্ছে চীনের বিখ্যাত তারা টানার একটি বাদ্যযন্ত্র । খৃষ্টীয় সপ্তম থেকে দশম শতাব্দি পর্যন্ত চীনের থাং রাজবংশের আমলে তার জন্ম হয় । তখন উত্তর- পশ্চিম চীনের সংখ্যালঘু জাতিগুলোর মধ্যে তার প্রচলন ছিল । এক হাজারেরো বেশি বছরের ইতিহাসে আর হু বরাবরই অপেরার জন্যে একটি সহযোগী বাদ্যযন্ত্র।
আর হুর গঠন খুবই সহজ । কাঠ দিয়ে তৈরি একটি সরু দণ্ড , ৮০ সেন্টিমিটার লম্বা । দন্ডেলাগানো রয়েছে দুটো তারা।দন্ডের নীচে বসানো রয়েছে পেয়ালা আকারের ক্যানিস্টার । আর আছে ঘোড়ার লেজ দিয়ে তৈরি ধনুক । আর হু বাজানোর সময়ে শিল্পদের বসতে হয় । তারা বাম হাত দিয়ে আরহু ধরেন এবং ডান হাত দিয়ে ধনুক ধরেন । আর হুর সুরের হ্মেত্র ৩টি অষ্টক ধ্বনিতে উন্নীত হতে পারে । আর হুর আওয়াজের প্রচুর প্রকাশ-শক্তি আছে । তার সুর মানুষের আওয়াজের কাছাকাছি হয় বলে আর হু ইতিমধ্যে গান করার এক রকম বাদ্যযন্ত্রে পরিণত হয়েছে। এই কারণে কেউ কেউ তাকে “ চীনা ধরণের বেহালা বলে অভিহিত করেন । যেহেতু আরহুর আওয়াজ শুনতে একটু বেদনাময় , সেহেতু তা দিয়ে গভীর ভাবানুভূতি প্রকাশ করা যায় ।
১৯৪৯ সালের পর আর হুর নির্মাণ , সংস্কার আর বাজানোর কলাকৌশল বিকাশ লাভ করেছে । আরহু দিয়ে এককভাবে বাজানো যায় , আবার নাচগান , সংগীত ,অপেরা আর কথাশিল্পের জন্যে সহযোগী বাজানোর ভূমিকা নেয়া যায় । চীনের জাতীয় তারা টানার বাদ্যযন্ত্র দলে আর হু হচ্ছে একটি প্রধান বাদ্যযন্ত্র ।তার ভূমিকা অনেকটা পশ্চিমা বাদ্যযন্ত্র দলের বেহালার মত ।
আর হুর নির্মাণ সহজ , দাম সস্তা এবং সহজে শেখা যায় আর সুর সুন্দর বলে চীনাদের মধ্যে তা ব্যাপক সমাদর পায় । আর হু হচ্ছে চীনা জনগণের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় একটি বাদ্যযন্ত্র ।
[
সুরের উপভোগ
]: 《খুং শান নিয়াও ইয়ু 》
|