কাও হু হচ্ছে “ উচ্চকণ্ঠের আর হুর সংহ্মিপ্ত নাম । তা আর হুর ভিত্তিতে তৈরি করা হয় । কাও হুর উদ্ভব চীনের লোক সংগীত - কুয়াং তুং সংগীতের সংগে ওতপ্রোতভাবে জড়িত আছে ।
“ কুয়াং তুং সংগীত” হচ্ছে চীনের কুয়াং তুং অঞলে প্রচলিত এক রকম লোক সংগীত অভিনয়ের পদ্ধতি । স্থানীয় অপেরা আর লোক সংগীতের সূত্র থেকে কুয়াং তুং সংগীতের উদ্ভব হয় । প্রথম দিকে কুয়াং তুং সংগীতের মধ্যে কাও হুর ব্যবহার ছিল না । বিংশ শতাব্দির বিশের দশকে কুয়াং তুং সংগীতের সুরকার আর শিল্পী লুই ওয়েন ছেন সাহসের সংগে আর হুকে সংস্কার করেন । তিনি এঐতিহ্যবাহী আর হুর রেশমের তারার বদলে ইস্পাতের তারা ব্যবহার করেন সুর নির্ধারণের মান উন্নত করেন । শিল্পীরা দুটো পা দিয়ে ক্যানিস্টার চেপে ধরে কাও হু বাজান । স্পষ্ট আর উদাত্ত আওয়াজসম্পন্ন উচ্চকণ্ঠের এই রকম আর হুকে লোকেরা “ কাও হু” বলে ডাকেন । অল্প দিনের মধ্যে তা কুয়াং তুং সংগীতের মধ্যে একটি প্রধান বাদ্যযন্ত্রে পরিণত হয় ।
কাও হুর কাঠামো , নির্মাণ আর কাঁচামাল আর হুর কাছাকাছি । সবচেয়ে বিরাট পার্থক্য হচ্ছে এই যে , কাও হুর ক্যানিন্টার একটু সরু । একটু দেরীতে কাও হুর জন্ম হয় বলে কাও হুর সংস্কার করার সময়ে বাদ্যযন্ত্রেরনির্মাতাদের উদ্বেগ আর সীমাবদ্ধতা কম ছিল । কোনো কোনো বাদ্যযন্ত্রের নির্মাতারা আগেকার গোলাকার ক্যানিস্টারকে চ্যাপ্টা গোলাকার করে তার আওয়াজ বাড়িয়ে দেন । কোনো কোনো বাদ্যযন্ত্রের নির্মাতারা দু তারার কাওহুকে তিন তারার কাওহুতে রূপান্তরিত করে তার সুরের হ্মেত্রকে ৫ ডিগ্রি বাড়িয়ে দেন ।
কাও হুর আওয়াজ উচ্চ আর উদাত্ত , ঠিক মেয়েদের উচ্চকণ্ঠের মত । তার এই বৈশিষ্ট্য এবং নীচু সুর এলাকায় তার মসৃণ সুরের কারণে বাদ্যযন্ত্রদলে তার স্থান অত্যন্ত লহ্মনীয় । সুতরাং চীনের জাতীয় তারা টানা বাদ্যযন্ত্র দলে কাও হুর জন্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থান রাখা হয় । তাছাড়া কাও হুর প্রকাশ-শক্তি অত্যন্ত সমৃদ্ধ বলে তা আবেগপূর্ণ, প্রাণবন্ত আর সুউজ্জল ছন্দ বাজানোর উপযোগী । তাই বাদ্যযন্ত্র দলে কাও হু সবসময় সংগীতের প্রধান ছন্দের জন্যে সহযোগীর ভূমিকা পালন করে এবং ভাবাবেগের প্রয়োজন অনুসারে প্রধান ছন্দকে মার্জিত করতে পারে ।
[
সুরের উপভোগ
]: 《ইয়ুতাপাচিয়াও 》
|