পান হুর অন্য নাম হচ্ছে “পাং হু” আর ছিন হু “ । স্থানীয় অপেরা পাং চি ছিয়াংয়ের উদ্ভবের সংগে সংগে হুছিনের ভিত্তিতে এর উদ্ভব হয় । চীনের অন্যান্য হুছিন ধরণের বাদ্যযন্ত্রের তুলনায় পান হুর সবচেয়ে বিরাট বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই যে , এর আওয়াজ উচ্চ আর সুর স্পষ্ট আর উদাত্ত। বিশেষ করে পান হু মানুষের প্রাণবন্ত , আন্তরিক আর উদাত্ত ভাব প্রকাশ করতে পারে । তাছাড়া এর নমনীয়তা এবং সূহ্মতাও খুবই লহ্মনীয় ।
চীনে পান হুর ইতিহাস ৩ শোরো বেশি বছর পুননো । এর নল পাতলা কাঠ দিয়ে তৈরি হয় বলে পান হুর নামকরণ করা হয় ।
গোড়ার দিকে প্রধানত চীনের উত্তর অঞলে পান হুর প্রচলন ছিল । সেখানকার বহু স্থানীয় অপেরা আর কথাশিল্প যেমন হোপেই পাংচি , ফিং চুই অপেরা , ইয়ু চুই অপেরা আর ছিন ছিয়াং অপেরায় পান হুকে প্রধান সহযোগী বাদ্যযন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হত ।
চীনের অপেরা আর কথাশিল্পের সংগে পান হুর গভীর সম্পর্ক থাকার কারণে অপেরা আর কথাশিল্পের সংগীত বাজানোর সময়ে সবচেয়ে সুন্দরভাবে নিজের ভূমিকা পালন করতে পারে । স্থানীয় অপেরা আর কথাশিল্পের জন্যে বাজানোর সময়ে বিভিন্ন এলাকার পান হু নিজের নিজের রীতি প্রকাশ করতে পারে এবং নিজের নিজের স্থানীয় বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করতে পারে । পান হুর কাঠামো অনেকটা আর হুর মতই । তবে এই দুটোর মধ্যে দফাতো রয়েছে । প্রধানত ক্যানিস্টারে এই দুটো বাদ্যযন্ত্রের পার্থক্য আছে । আর হুর ক্যানিস্টার চামড়া দিয়ে ঢাকা এবং পান হুর ক্যানিস্টার থুং কাঠের পাত দিয়ে ঢাকা । এটা পান হুর আওয়াজের সংগে জড়িত আছে । পান হুর সুর অত্যন্ত স্পষ্ট আর উদাত্ত এবং গ্রামের মাটির আমেজ রয়েছে । বাদ্যযন্ত্র দলে বিভিন্ন সহযোগী বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে পান হু সব সময়ে প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকে এবং তারা টানার বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে পান হু উচ্চকণ্ঠের ভূমিকা নিয়ে থাকে ।
নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর সংগীতকার আর বাদ্যযন্ত্র নির্মাতাদের প্রচেষ্টায় পান হু তৈরির কলাকৌশলো অনেক উন্নত হয়েছে এবং অনেক নতুন ধরণের বাদ্যযন্ত্রকে” পান হুর পরিবারে ‘ অন্তর্ভূক্ত করা হয় ।
তার মধ্যে মধ্যমকণ্ঠের পান হু , উচ্চকণ্ঠের পান হু , ৩ তারার পান হু , বাঁশের ক্যানিস্টারের পান হু , ছিন ছিয়াং পান হু ইত্যাদি সবই “ পান হুর পরিবারের “ নতুন সদস্য” ।
[
সুরের উপভোগ
]: 《তাছিপান 》
|