চীনা বিছানার রকমফের
 

       চীনা বিছানার তিনটি মূল ধরণঃ দিনের বিছানা “থা”, লোহান বিছানা “ছুয়াং” এবং চাঁদোয়া বিছানা সবই জটিলতা আর আনুষ্ঠানিকতার পরিচায়ক। দিনের বিছানার কোনো রেলিং নেই, সাইড প্যানেলও না। তা নিতান্তই একটি বড় আকারের চৌকির মতো লোহান বিছানার পেছনে ও পাশে রেলিং আছে, পেছনের রেলিংটি সচরাচর কিছুটা উঁচু হয়। কিন্তু রেলিং কঠিন বোর্ড দিয়ে তৈরী, অন্য অনেকগুলো আবার মুক্ত জাফরিকাটা। অল্পসংখ্যক শুধু কাঠামো আর ভাসমান প্যানেল দিয়ে তৈরী। আজকালকার শ্রেণীকরণ প্রথা অনুযায়ী লোহান বিছানাকে দিনের বিছানাও বলা যায়।শক্ত কাঠের তৈরী লোহান বিছানা দেখতে টেকসই ও রুচিশীল। মিং রাজামলে লোহান বিছানা সাধারণতঃ পড়ার ঘর আর শয়নকক্ষে আরামের জন্যে ব্যবহৃত হতো, কারণ তার আকার খুব বড় নয় এবং সহজেই স্থানান্তরযোগ্য।চাঁদোয়া বিছানার একটি উঁচু কাঠামো আছে, যার আছে জাফরি কাটা কাজ আর খোদাই করা প্যানেল এবং চার বা ছ’টি খুঁটি। ছ’খুঁটি যুক্ত বিছানার সামনে দু’টি অতিরিক্তর সমর্থনে ছোট দুটি অতিরিক্ত প্যানেল বসানো যায়। এক ধরণের চাঁদোয়া বিছানা দিয়ে একটি কমপ্লেক্সও তৈরী করা যায়, যার ভেতরে সামনে পিছনে বিস্তৃত একটি কাঠের প্লাটফর্ম বসানো যেতে পারে। সামনের অংশে ছোট টেবিল -চেয়ারের ব্যবস্থা রাখা যায়। উপরের কাঠামো থেকে ঝোলানো ঝালর দিয়ে একটি প্রাইভেট শয়নঘর তৈরী করা যায়।  

   বিছানার নীচের অংশ সাধারণতঃ খালি থাকে। আজকাল অবশ্য জায়গা সাশ্রয়ের জন্যে দেরাজ বসানো হয়।