থাই ইউয়ানের দেড়শ’ কিলোমিটার দক্ষিণে ওয়াংয়ের আঙিনা অবস্থিত। মিং শাসনামলে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে ওয়াংয়ের উত্পত্তি। ছিং শাসনামলের মাঝামাঝি সময়ে এটি বৃহত্ কর্পোরেশনের রূপ পরিগ্রহ করে। খামার এবং বাণিজ্য থেকে শুরু করে রাজনীতি পর্যন্ত কর্মতত্পরতাবিস্তৃত হয় ওয়াংয়ের ।
ক্ষমতাশালী এ পরিবারের সমৃদ্ধির প্রতীক হিসাবে একটি বিপুলায়তন ম্যানশন তৈরি করা হয়।
প্রায় অর্ধ শতাব্দি ধরে এর নির্মাণ কাজ চলে এবং বিশাল ভবনটি ৩১ হাজার ৯৫৬ বর্গমিটার (৭ দশমিক ৯ একর) এলাকা জুড়ে নির্মিত হয়। এটি ছিয়াও কম্পাউন্ডের চার গুণ । এক হাজার ৫২টি কক্ষ এবং ৫৪টি আঙ্গিনা সম্বলিত ওয়াং কম্পাউন্ড প্রাচ্যের আবাসিক স্থাপত্যের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। পাহাড়ের পাশে ভবনটি নির্মান করা হয়। ঢালু পাহাড়ি পথে দেয়াল নির্মাণ করে এটিকে সুরক্ষিত করা হয়। ফলে এটি দুর্গের রূপ পরিগ্রহ করে। ভবনটির পূর্ব দিকের গেট দু’হাজার মিটার উঁচু মিয়ানশান পর্বতমুখী ভবনের ভিতরের অংশ কাওচিয়াইয়া, হংমেনপাও ও পূর্বপুরুষদের মন্দির এ তিনভাগে বিভক্ত।
কাও চিয়া ইয়া, অথবা পূর্ব উঠোনে একগুচ্ছ বসতবাড়ি প্রাচীর দিয়ে ঘেরা, অনিয়মিত দূর্গের মতো।
|