ইংবি
 

       “ইংবি” উঠোনের ভেতরে পথিকদের উঁকি দেয়া থেকে বিরত রাখা ছাড়াও পর্দা প্রাচীরের আরেকটি সুবিধা হলো, অতিথি বা আগন্তুক প্রাচীরটি বাইরে দাঁড়িয়ে নিজের পোষাক-আষাক ঠিক করে নিয়ে তারপর ভেতরে যেতে পারেন। তার কিছুকাল পরে ব্যক্তিগত বাড়িঘরে (প্রধানতঃ উত্তর চীনের চকমেলানো বাড়িঘর) পর্দা প্রাচীরের ব্যবহার শুরু হয়।

 

     সবচেয়ে চমত্কার প্রাচীণ পর্দা প্রাচীরগুলো হচ্ছে চকচকে রঙিণ টালি দিয়ে তৈরী “নয় ড্রাগন প্রাচীর”। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়টি ৪৫.৫ মিটার * ৮ মি: * ২.০২ মিটার, যা এখন শানসি প্রদেশের তাথোং শহরে সংরক্ষিত রয়েছে। মিং রাজামলের প্রথম সম্রাট চু ইউয়ান চাংয়ের ত্রয়োদশ পূত্রের প্রাসাদের সামনে এই প্রাচীরটি প্রথম শোভা পেয়েছিলো। এতে ন’টি সাতরঙা ড্রাগনের মেঘের সাথে ওড়ার দৃশ্য রয়েছে। সবচেয়ে সুন্দর তিনটির অন্যতমটি একটি মিং রাজপ্রাসাদে ছিলো, যা এখন পেইচিং পেইহায় পার্কের হ্রদের উত্তর দিকে দাঁড়িয়ে আছে। চকচকে রঙিণ টালির মোজাইক দিয়ে তৈরী এই প্রাচীরের উভয় পাশে রয়েছে ন’টি আশ্বস্ত ড্রাগন।