|
|
|
|
|
বিশ্বের বৃহত্তম ব্রোঞ্জপাত্র ‘সিমুউতিং’ কীভাবে ঢালাই করা হয়
|
|
১৯৩৯ সালের মার্চ মাসে চীনের মধ্যাংশের হোনান প্রদেশের আনইয়াং এলাকার উকুয়ান গ্রামের উত্তর দিকের কৃষিক্ষেতে আবিষ্কৃত হয় বিশ্বের বৃহত্তম ব্রোঞ্জপাত্র ‘সিমুউতিং’, যার ওজন ৮৭৪ কিলোগ্রাম, উচ্চতা ১.৩৩ মিটার, লম্বা ১.১০ মিটার ,চওড়া ০.৭৮ মিটার। এতো বড় ব্রোঞ্জ পাত্র কিসের জন্য ব্যবহার করা হয়? এবং কীভাবেই বা তৈরি করা হয়? সিমুউতিং বোঞ্জপাত্রটি হলো যজ্ঞানুষ্ঠানে ব্যবহার্য এক রকম ব্রোঞ্জপাত্র । বিশেষজ্ঞরা “সি-মু-উ”এই তিনটি চীনা চিত্রাক্ষর নিয়ে গবেষণা চালিয়ে ব্যাখ্যা করে বলেছেন যে, এই তিনটি চীনা অক্ষরের অর্থ : “মাতা উ’র স্মৃতির উদ্দেশ্যে যজ্ঞ করা”। গবেষণা থেকে জানা গেছে, “সিমুউতিং” ব্রোঞ্জপাত্রটি চীনের শাং রাজবংশের রাজা জুকেং তাঁর প্রয়াত মাতা উ’র স্মৃতির উদ্দেশ্যে আয়োজিত যজ্ঞানুষ্ঠানে ব্যবহার করেছিলেন। অতীতে কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করতেন, এতো বিরাট ব্রোঞ্জপাত্র তৈরি করার জন্য প্রথমে আলাদা আলাদাভাবে তার হাতল, মূল পাত্র আর তার পাগুলো ঢালাই করে তৈরি করে রাখতে হয়, পরে সেই আলাদা আলাদা অংশগুলো একত্রে ঢালাই করে তৈরী করা হয় । কিন্তু সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বিশ্লেষণ ও গবেষণার ভিত্তিতে মন্তব্য করেন, “সিমুউতিং” ব্রোঞ্জপাত্রটি তবুও চীনের ধাতু-ঢালাই শিল্পেরঐতিহ্যিক পদ্ধতিতে শুধু এক বারেই ( গোটা পাত্র) ঢালাই করে তৈরি করা হয়েছে। প্রথমে উপযুক্ত মাটি দিয়ে যথাযথভাবে বিভিন্ন বিভাগ-যুক্ত জটিল ধরনের এক ছাঁচ তৈরি করে রাখা হয়। তাতেই গলিত ব্রোঞ্জ ঢেলে দেয়া হয়। “সিমুউতিং”পাত্রটির চার পা’র মধ্যে তিনটি পা’র জায়গাই হলো গলিত ব্রোঞ্জ ঢেলে দেয়ার জন্য তিনটি “মুখ”, বাকী একটি পা’র জায়গা হলো ঢালাইয়ের প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট বর্জ্য বাষ্প বা গ্যাস বেরিয়ে যাওয়ার “মুখ” বা পথ । ঢালাইয়ের জন্য একটি বিরাট চুল্লি বিরাট ছাঁচের কাছে স্থাপিত হয়। ঢালাইয়ের জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই বিরাট আকারের “সিমুউতিং’ ব্রোঞ্জপাত্র তৈরী হয়।
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|