ঢোল বাদক- গায়কের টেরাকোটা

       “ঢোলবাদক- গায়কের টেরাকোটা” , ধুসর রংয়ের এই টেরাকোটার উচ্চতা ৫৫ সেন্টিমিটার। পূর্ব হান রাজবংশ আমলে (২৫-২২০ খ্রীষ্টাব্দ) এটা তৈরী হয়েছে । চীনের সিছুয়েন প্রদেশের রাজধানী ছেংতু শহরের থিয়েনহুই খাড়া পাহাড়ের একটি বিশেষ সমাধি থেকে এটি আবিষ্কৃত হয়েছে । বর্তমানে এই টেরাকোটা চীনের “ইতিহাস জাদুঘরে” সংরক্ষিত রয়েছে।

     সিছুয়েন প্রদেশের ভূগর্ভ থেকে আবিষ্কৃত টেরাকোটার ভাস্কর্য শিল্পকর্মগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত শিল্পকর্মটি হলো এই “ঢোলবাদক- গায়কের টেরাকোটা”। বাদক-গায়ক মাটিতে বসে আছে, তার মাথা বড় এবং পাগড়ী-পরা, কপালের বলিরেখাগুলো খুব স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে। শরীরের উপরের অংশ খালী, খালী পা , বাঁ হাতে গোলাকার ঢোল, ডান হাতে ঢোল বাজানোর লাঠি উঁচিয়ে ধরে আছে। এই ঢোলবাদক-গায়ক ঢোল বাজাতে বাজাতে গাথা গাইছেন এবং তাঁর অনুষ্ঠান পরিবেশনার চরম পর্ব চলছে বলে তিনি আত্মহারা হয়েই গান গাইছেন , এমন কি হাত-পা যেন নেচে উঠছে। তাঁর একেবারে আসর জাঁকানো অবস্থা । অবশ্য তিনি কি গাইছেন তা বুঝার উপায় নেই । কিন্তু এই উত্সাহপুর্ণ প্রাণবন্ত ও কৌতুকী শিল্পীকে দেখলে সবাই আনন্দিত হয়ে হেসে উঠতে পারেন । এমন কি কল্পনা করা যায়, এই শিল্পী যেন আমাদের সামনেই রয়েছেন, শিল্পমোদী দর্শকরা তার গাথা পরিবেশনার কলাকৌশল খুব উপভোগ করছেন ।