ছৌ ইং (১৪৭০-১৫২৩), তাঁর “জি” ( পুরানো আমলের চীনা লোকের আসল নামের অর্থ থেকে ধার্য করা অন্য নাম) শিফু , তাঁর “হাও” (পুরানো আমলের চীনা লোকদের আসল নাম এবং “জি” ছাড়া অন্য ডাক নাম) শিচৌ, চিয়াংসু প্রদেশের থাইছাং নামক জায়গার অধিবাসী। বার্ণিশ-মিস্ত্রীর পরিবারে তাঁর জন্ম । তিনি চৌ ছেংয়ের কাছে চিত্রাংকন শিখেছেন । পাহাড় ও নদনদী ইত্যাদি প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলী, বিশেষ ব্যক্তিত্ব এবং সুন্দরী নারীর রূপায়ন তাঁর চিত্রে ফুটিয়ে তুলতে তিনি বিশেষ পারদর্শী।
তাঁররেশমী কাপড়ে আঁকা“ নয়নাভিরাম দৈবলোক ” নামক চিত্রে প্রধানত সবুজ বা গাঢ় সবুজ রংব্যবহার করাহয়েছে, চিত্রটিতে সংসার-ত্যাগীদের বনবাসেরদৈবলোকের মতো সুন্দরপাহাড়ীপরিবেশ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। চিত্রটিতে দেখা যায়: সুদূর দিগন্তেতরঙ্গমালা-সদৃশ পাহাড়ের শৃংগগুলো। দেখলেমনে হয়সেগুলো খুবইগভীর, উঁচু এবং দূর। পাহাড়ী শৃংগগুলোর মাঝেমেঘরাশি ও কুয়াশা বিরাজমান।চীনা শৈলীরমন্দির আর মঞ্চ কখনো দেখা দিচ্ছে , কখনও আবারকুয়াশায় ছেয়ে গিয়ে অদৃশ্য হয়ে যায়। চিত্রের সামনের দৃশ্যে দেখা যায়কাঠেরসাঁকোরনিচেনদীরস্রোত কলকল করে প্রবাহিত হচ্ছে। চার দিকে পাইন গাছ, তার শাখাগুলো আঁকাবাঁকা , দেখতেবিশেষ সুন্দর এবং সুমার্জিত । এটাইলোকালয়েরমধ্যে দৈবলোকের অপরূপ দৃশ্য । শিল্পী তাঁর কলাকৌশলের উত্কর্ষ প্রয়োগ করে খুবইসূক্ষ্মভাবেচিত্রটি এঁকেছেন। চিত্রটিতে সুস্পষ্ট রং আর তুলির আঁচড়ে বিশেষ করে মানুষের অবয়ব এঁকেছেন । এই চিত্রেপ্রতীয়মান হয়েছে ,বিশেষ ব্যক্তিত্ব আরপাহাড় ও নদীস্রোতের দৃশ্য আঁকতে শিল্পী খুবইসিদ্ধহস্ত।
|