পঁঞ্চশ হাজার বছর আগেকার পুরনো
প্রস্তর যুগে আদিম মানুষ সুচ
তৈরী করে তা ব্যবহার করত ।
তাদের সুচ হাড় দিয়ে তৈরী ।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা ইউরোপের
ওরুনা ধ্বংশাবশেষে এই ধরনের
সুচ আবিস্কার করেছেন । তবে
তা তৈরীর মান বেশ নীচু । কিন্ত
পেইচিংয়ের উপকন্ঠের চৌখৌতিয়ানের
লংগু পাহাড়ের গুহায় যে একটি
হাড়ের সুচ আবিস্কৃত হয়েছে তা
তৈরীর কৌশল প্রশংসার দাবিদার
।
এই সুচ ৮২ মিলিমিটার লম্বা
, তার ব্যাস তিন মিলিমিটার
, একটি দেশলাই কাঠির চেয়ে কিঞ্চিত
মোটা ।এই সুচ একটু বাঁকা, উপরি
ভাগ মসৃণ, অগ্রভাগ ধারালো ,তার
মাথার ছিদ্র স্পষ্ট দেখা যায়
। পরিতাপের বিষয় এই যে , খননের
সময়ে তার মাথার ছিদ্র নষ্ট
হয়েছে ।
লংগু পাহাড়ের গুহায় কোনো সুতোর
সন্ধান মেলে নি । বিশেষজ্ঞরা
অনুমান করেন , গুহায় বসবাসকারী
আদিম মানব যে সুতো ব্যবহার
করত তা উদ্ভিদের তন্তু নয় ,
খুব সম্ভবত হরিণের অস্থিবন্ধনী।
হরিনের অস্থিবন্ধনী প্রায় ৫০
সেন্টিমিটার , সাদা সরু অস্থিবন্ধনী
সুতো হিসেবে ব্যবহার করা যেত
।
সুচ ও সুতো থাকলে কাপড় বোনা
যায় ,তাই অনুমান করা যায় যে
, লংগু পাহাড়ের গুহায় বসবাসীকারী
আদিম মানব পোষাক পরত ।
আজ থেকে ১৮ হাজার বছর আগে লংগু
পাহাড়ের গুহায় বসবাসকারী আদিম
মানব ভূষন তৈরী করত এবং পরত
। চীনের প্রত্নতত্ত্ববিদরা
গুহায় আদিম মানবের তৈরী হার
আবিস্কার করেছেন । পাথরের বল
, কংকর ,পশুর দাঁত, মাছের হাড়
ও ঝিনুকের গায়ে ছিদ্র করে দড়ি
দিয়ে জুড়িয়ে তাদের নানা রকম
হার তৈরী করা হত। আদিম মানব
প্রস্তরের হাতিয়ার ব্যবহার
করে লাল রংয়ের লৌহ-আকরিককে
গুড়ো করে দড়ি এবং বল, কংকর
,পশুর দাঁত, মাছের হাড় ও ঝিনুকের
ছিদ্রে রং লাগাত ।
|