রিমোট সেনসিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রাচীন শহর পেইচিংয়ের নতুন দৃশ্য আবিস্কার  
 

      পেইচিং শহর ১৪০৩ সাল থেকে ১৩২৫ সাল পর্যন্ত নির্মিত হয় । পেইচিং শহর তার ইমারতগুলোর সুচিন্তিত বিন্যাস ও অপুর্ব সৌন্দর্যের জন্য বিশ্ববিখ্যাত। বছরখানেক আগে চীনের বিজ্ঞানীরা রিমোট সেনসিং প্রযুক্তি প্রয়োগ করে আকাশ থেকে পেইচিং শহরের ছবি তুলেছেন এবং টের পেয়েছেন যে , পেইচিংয়ের শহরাঞ্চলে দুটো প্রকান্ড ড্রাগন শুয়ে আছে এবং একটি প্রকান্ড মানব বসে আছে । এই তিনটা দৃশ্য অতি মনোরম । 

 রিমুট সেনসিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে যে রংগীন ছবি তোলা হয়েছে তাতে দেখা যায় , সেই দুটো ড্রাগন পাশাপাশি থাকে এবং তাদের দেহ শহরের ভেতর থেকে বের হয়ে দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে প্রসারিত । একটি ড্রাগন পেইচিংয়ের পুরনো ইমারত নিয়ে গঠিত ।তাই তাকে পুরনো ইমারতের ড্রাইগন বলা যায় । ড্রাগনটি থিয়ান আন মেন তোরণ থেকে শুরু করে এঁকেবেঁকে জংগু তোরণ পর্যন্ত বিস্তৃত । থিয়ান আন মেন তোরণ তার মুখ , থিয়ান আন মেন তোরণের সামনের জিন সুই সেতুগুলো তার গোঁফ , পুর্ব আর পশ্চিম জাং আনা রাস্তা তার দাড়ি । থাই মন্দির ও সেচি বেদী ড্রাগনের দুটো চোখ , রাজপ্রাসাদ ড্রাগনের গা , জিংসান পার্ক তার মেরুদন্ড ।জংগু তোরণ ড্রাগনের লেজ , রাজপ্রাসাদের চারটের কোনায় দন্ডায়মান ওয়চ-টাওয়ার দেখতে ড্রাগনের পায়ের মত । 

অন্য একটি ড্রাগন পেইচিংয়ের নদী ও দীঘি নিয়ে গঠিত । তাই তাকে জলের ড্রাগন বলা যায় ।অর্ধগোলাকার নানহাই দীঘি ড্রাগনের মাথা ,জংহাই দীঘি ও পেইহাই দীঘি আঁকাবাকাঁ ড্রাগনের গা । সেসা দীঘি ড্রাগনের আন্দোলিত লেজ । 

একটি ইমারতের ড্রাগন ও একটি জলের ড্রাগন গায়ে গায়ে লেগে আছে , দুর থেকে তাকালে যেমন অদ্ভুত তেমন ভারি সুন্দর মনে হয় । নকসা অঙকনকারীরা ইচছাকৃতভাবে এমন নকসা অঙকন করেছেন ,না সেটা একটি দৈবাত ব্যাপার তা সঠিকভাবে বলা কঠিন । 

জিনসান পার্কের বাগান পেইচিংয়ের আরেকটি অসম্ভব সুন্দর স্থান । এই বাগান চোখ বোজা -ধ্যানরত একটি প্রকান্ড মানবের মত। রাজপ্রাসাদের উত্তরে অবস্থিত জিনসান পার্ক অতীতে ছিল রাজোদ্যান । এই বাগানের চেহারা ইচছাকৃতভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে না একটি দৈবত ব্যাপার তা এখনো একটি অভেদ্য রহস্য । 

পেইচিংয়ে আবিস্কৃত এই তিনটে নতুন দৃশ্য প্রাচীন শহর পেইচিংয়ের গায়ে আরো বেশী রহস্যের রং লাগিয়েছে ।