চীনাদেরকে যে ড্রাগনের বংশধর
বলা হয় তার কারন খুঁজে পাওয়া
যায় প্রাচীনকালের মূর্তি ও
কিংবদন্তীতে ।
কথিত আছে, সম্রাট হুয়াং মধ্যচীনের
একীকরণ বাস্তবায়নের আগে ভালুকের
মূর্তি পুজা করতেন । জিইউকে
পরাজিত করে মধ্যচীনের একীকরণ
বাস্তবায়নের পর বশীভূত মানা
উপজাতিকে শান্ত করার জন্য তিনি
ভালুকের বদলে কাল্পনিক জন্তুর
মূর্তি পুজার সিদ্ধান্ত নেন
।এই কাল্পনিক জন্তুর নাম “ড্রাগন”
।ভালুকের মাথা ও সাপের দেহ
নিয়ে “ড্রাগন” সৃষ্টি হয় ।
প্রকৃত পক্ষে সম্রাট হুয়াংয়ের
শাসনকালে মাতৃপ্রধান জাতি ও
পিতৃপ্রধান জাতির মূর্তির মিলনে
ড্রাগনের মূর্তি গড়া হয়েছে
। ড্রাগনের চেহারায় প্রতিফলিত
হয়েছে চীনা জাতির বিকাশের ইতিহাস
ও বিভিন্ন জাতির মিলনের প্রতিক্রিয়া
।
পরবর্তীকালে চীনা জাতির প্রতীক-
ড্রাগনের ছবি আঁকা হয় এবং তার
নাম স্থির করা হয় । হোনান প্রদেশের
খননকাজে কচ্ছপের খোলের উপরে
খোদিত যে চীনা শব্দগুলো আবিস্কৃত
হয়েছে সেগুলোর মধ্যে “ ডাগন”
শব্দটি ছিল । খননকাজে প্রাপ্ত
প্রাচীনকালের মৃত্পাত্রের টুকরোর
উপরে ড্রাগনের ছবিও আবিস্কৃত
হয়েছে । অনতিকাল পুর্বে চীনের
প্রত্নতত্ত্ববিদরা লিয়াও নিং
প্রদেশের ফুসিন জেলার ছাহাইগু
ধ্বংসাবশেষে মৃত্পাত্রের যে
দুটো টুকরো পেয়েছেন তার একটির
উপরে উড়ন্ত ড্রাইগন এবং অন্যটির
উপরে উবু হয়ে বসা ড্রাগনের
ছবি আঁকা রয়েছে । দুটো জীবন্ত
ড্রাগনের গায়ের আঁশ স্পশ্ট
দেখা যায় ।
ড্রাগন চীনা জাতির আদিম মানবের
মূর্তি হওয়ায় ড্রাগনের সংগে
চীনা জাতির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক
গড়ে উঠেছে । কালক্রমে ড্রাগনকে
কেন্দ্র করে যে অনেক কিংবদন্তী
উদ্ভূত হয়েছে তাতে বলা হয় যে
সম্রাট দেবতার অবতার । কথিত
আছে , তেন নামক একজন সুন্দরীর
রূপে বিমোহিত হয়ে স্বর্গের
ড্রাগন সম্রাট ইয়ানকে প্রসব
করেছে । সম্রাট হুয়াং ধ্রুবতারা
ছেলে । সম্রাট ইয়াও লাল ড্রাগনের
ছেলে । যেহেতু চীনা জাতির আদিম
মানব স্বর্গের ড্রাগনের অবতার
, সেহেতু চীনা জাতির বংশধর
নিশ্চয় ড্রাগনেরও বংশধর ।
|