মিয়াও চিকিত্সাবিদ্যা

     মিয়াও জাতির লোকেরা মনে করে, ছটি উপাদান মানুষকে অসুস্থ করেঃ বিষ, দুর্বলতা, আঘাত, অতি-পরিশ্রম, ব্যাকটেরিয়া আর পোকামাকড়। তারা নাড়ীর স্পন্দন অনুভব করা, মুখের রং পর্যবেক্ষণ, প্রশ্নোত্তর, স্পর্শ, আঘাত করা, ঘর্ষণ এবং চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করে। তারা মনোদৈহিক অস্বাভাবিকতা নির্ণয়ে এই পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করে।  

   গাছ-গাছড়া, প্রাণী আর খনিজ হচ্ছে মিয়াও ওষুধ পত্রের উত্স। ওষুধের বৈশিষ্ট্য তপ্ততা, শীতলতা আর নাতিশীতোষ্ণতা, এই তিনভাগে বিভক্ত। তপ্ত ওষুধ দিয়ে শীতলতার অসুখ আর শীতল ওষুধ দিয়ে তপ্ততা সৃষ্ট অসুখ নিরাময় করা হয়। অসম্পূর্ণ পরিসংখ্যান অনুযায়ী মিয়াও জাতির ১৫০০ ধরণের সাধারণ ওষুধ আছে, যার ২০০টি প্রায়শঃই ব্যবহৃত হয়।  

   মিয়াও ওষুধপত্রের উত্সগুলো মিয়াও পার্বত্য এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আরো রয়েছে উ মং পাহাড় এবং উ লিং পাহাড়ে এসব পাহাড়ে অধিকাংশ মিয়াও লোকেরা বসবাস করে। ভেষজ গাছ-গাছড়া ছড়িয়ে রয়েছে বিভিন্ন ভৌগোলিক অবস্থান, ভৌগোলিক পরিবেশ এবং ওষুধ তৈরীর প্রথাভ্যাসের তারতম্যের ভিত্তিতে। কিছু কিছু সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। কিছু কিছু অবশ্য উঁচু পার্বত্য অঞ্চলেই শুধু পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে , অধিকাংশ মিয়াও লোকদের বসতিপূর্ণ এলাকায় অনেক ভেষজ উদ্ভিদ বাগান করা হয়েছে। সর্বসাধারণের ব্যবহৃত কিছু ভেষজ গাছ-গাছড়া চাষ করার জন্যে এই সব বাগান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গ্যাসট্রোডিয়া টিউবার , পোরিয়া এবং ইউকোমিয়ার ছাল, এ ধরণের ভেষজ গাছ-গাছড়ার কয়েকটি উদাহরণ।