কোরীয় জাতির লোকেরা তাদের স্বকীয় সংস্কৃতির ভিত্তিতে হান চিকিত্সাবিদ্যার কিছু তত্ত্ব ব্যবহার করেছে এবং তা ব্যবহারিকভাবে সমন্বিত করেছে। প্রাচীণকাল থেকেই কোরীয় আর হান জাতির লোকেরা চিকিত্সাবিদ্যাসহ নানান ক্ষেত্রে আদান-প্রদান বজায় রেখেছে। হানদের কাছ থেকে কিছু কিছু শিক্ষা নিয়ে কোরীয়রা তাদের চিকিত্সাবিদ্যা সৃষ্টি করেছে।ঊনবিংশ শতাব্দিতে লি চি মা বলে এক ব্যক্তির লেখা তোং সি শৌ শি বাও ইউয়ান নামে একটি গ্রন্থে বিবৃত সি শিয়াং তত্ত্ব হচ্ছে তাদের এই চিকিত্সা পদ্ধতির তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক পক্কতার পরিচায়ক।
কোরীয় ওষুধপত্রের উত্স
হান গাছ-গাছড়া আর কোরীয় গাছ-গাছড়া হচ্ছে কোরীয় ওষুধপত্রের প্রধান দুটি উত্স। এই চিকিত্সা ব্যবস্থায় রোগ নিরাময়ের লক্ষ্যে প্রচূর হান ব্যবস্থাপত্র ব্যবহার করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, সি শিয়াং ওষুধপত্রের ২৭১টি গাছ-গাছড়ার সবগুলোই হান গাছ-গাছড়া।
এ রকম আরও বহু গ্রন্থে হান ব্যবস্থাপত্র ব্যবহার করা হয়েছে। যেমন তোং ই সি শিয়াং চিন খোয়েই সি যেখানে ১২৯৭টি হান গাছ-গাছড়া ব্যবহৃত হয়েছে গাইড বুক হান মেডিসিন বা হান ফাং ই শুয়েন চি নান গ্রন্থে দেড় হাজারের বেশী হান ব্যবস্থাপত্র ব্যবহৃত হয়েছে, তোং ই বাও চিয়েন গ্রন্থে ১৫ প্রজাতির ১৪০০ এর বেশী গাছ-গাছরা রেকর্ড করা হয়েছে এবং নয়া-ব্যবস্থাপত্রের সংকলনে ৪১ প্রজাতির ৫১৫ হান গাছ-গাছড়া অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।
কোরীয়দের স্থানীয় গাছ-গাছড়ার সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে। ১৯৪৯ সাল থেকে কোরীয় গাছ-গাছড়া সংগ্রহের উপর ব্যাপক কাজ হয়েছে। কোরীয় ব্যবস্থাপত্রে প্লেটিকডন নামে এক ধরণের উদ্ভিদের শেকড়ের সঙ্গে মুরগী খেতে দেয়া হতো স্ত্রীরোগ নিরাময়ের জন্যে। কচি এনজেলিকা উদ্ভিদের শেকড় রাত রোগের উপশমে সহায়ক বলে বলা হয়েছে। কোরীয় থেরাপীতে এ ধরণের ওষুধ বেশী। এছাড়াও নানা ধরণের ব্যবস্থাপত্র মানুষের মাঝে ছড়িয়ে রয়েছে। পিওসেডেনামের শেকড় চুল কালো করা আর কটিবাত রোগের জন্যে উপকারী। ক্যালসাইট চূর্ণ রক্তপড়া বন্ধ করে এবং বাহ্যিক আঘাত নিরাময় করে।