প্রাচীনকালে, সিনচিয়াং জেলাটি পশ্চিম চীন এলাকার আওতায় ছিল। পশ্চিম হান রাজামলে (খ্রীঃ পূঃ ২০৬--খ্রীষ্টীয় ২৫), পশ্চিমগামী রেশম পথের প্রতিষ্ঠা অর্থনীতির উন্নয়ন আর সাংস্কৃতিক বিনিময় ত্বরান্বিত করে।
পূর্ব ও পশ্চিমের চিকিত্সাবিদ্যা মধ্য এশিয়ার এই স্থলবেষ্টিত সিনচিয়াংয়ে এসে মিলিত হয়, যার ফলে স্থানীয় জাতিগোষ্ঠীর চিকিত্সাবিদ্যার উন্নয়নে ভূমিকা রাখে। কাজেই উইগুর চিকিত্সাবিদ্যা নিজের পদ্ধতির ভিত্তিতে অন্যান্য অঞ্চল ও সংখ্যালঘু জাতির চিকিত্সাবিদ্যার নির্যাস নিয়ে স্ববৈশিষ্ট্যসম্পন্ন চিকিত্সাবিদ্যা প্রণয়ন করে।
ওষুধ তৈরীতে উইগুরদের রীতি-প্রথা
গবেষণায় দেখা গেছে, সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে সব মিলিয়ে ৬০০ ধরণের ওষুধ আছে, যার মধ্যে ৩৬০ ধরণের সর্ব সাধারণ ব্যবহার করেন এবং ১৬০ ধরণের ওষুধ তাদের নিজেদের উত্পাদন , যার অনুপাত ২৭ শতাংশ।
উইগুর ওষুধপত্রের মধ্যে সুগন্ধী গাছ-গাছড়া আর বিষাক্ত গাছ-গাছড়া উভয়ই ব্যবহৃত হয়। উইগুর ওষুধ তৈরীতে কস্তুরী, এমবারগ্রিস , লাইলাক ইত্যাদি সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়।