অঙ্গ-সংবাহন

      অঙ্গ-সংবাহন বা ইংরেজীতে massage হচ্ছে শরীরের বিভিন্ন সিস্টেমে মর্দন বা মালিশ করা, যাতে রোগ প্রতিরোধ করা যায় আর সুস্থ থাকা যায়।

              অঙ্গ-সংবাহন মৌলিক দিক

  চীনা চিকিত্সা তত্ত্ব আর ডায়্যালেকটিক্যাল নীতিমালার ভিত্তিতে অঙ্গ-সংবাহন বা ম্যাসাজ কোনো ওষুধ সেবন ব্যতিরেকে রোগ নিরাময় করতে পারে। তার প্রয়োগ সহজ এবং কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। অনেক রোগ সারে ম্যাসাজে। তবু মানু ম্যাসাজ নেয় প্রধানতঃ মেরুদন্ড বা অস্থি জঙ্ঘার রোগ, ক্লান্তি ইত্যাদি সমস্যা হলে।  

  ম্যাসাজের জন্যে বিশেষ পরিচালন আর দক্ষতা দরকার। এ ক্ষেত্রে যে শক্তি ব্যবহৃত হয়, তা হতে হবে স্থিতিশীল, জোরালো, সম-বন্টিত, হালকা, গভীর আর সার্বিক। ম্যাসাজে বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই হাত ব্যবহৃত হয়, তবে পা, কনুইয়ের নিম্নাংশ আর বিশেষ যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করা হয় প্রয়োজনে।

              অঙ্গ-সংবাহন কার্যকরীতা

  অঙ্গ-সংবাহন কার্যকরীতার মধ্যে রয়েছে: 

  কখনো কখনো ডাক্তাররা মালিম, দুধ-সদৃশ তরলপদার্থ, তিলের তেল, সুগন্ধী পাউডার, নানা ধরণের তেল ইত্যাদিও ব্যবহার করেন। ম্যাসাজের পদ্ধতি বহুমুখী, যেমনঃ টানা, ঠেলা, আঙ্গুল দিয়ে ঠেলা, ঘষা, আঘাত করা ইত্যাদি। নিজেই নিজের ম্যাসাজ করা যায়, অন্যদের দিয়েও করানো যায়।

(ম্যাপ: অঙ্গ-সংবাহন পদ্ধতি )

  চিকিত্সার্থে পরোক্ষ ম্যাসাজ যেমন শিশু ম্যাসাজ, হাড়ের ম্যাসাজ, ছি কোং ম্যাসাজ ইত্যাদি নেয়া যায়।

(ম্যাপ: অঙ্গ-সংবাহন পদ্ধতি )

  সু-স্বাস্থ্য রক্ষার জন্যে স্ব-ম্যাসাজ যেমন চোখের ম্যাসাজ, হাত ও পায়ের ম্যাসাজ, পেটের ম্যাসাজ, স্নায়ুর ম্যাসাজ ইত্যাদি নেয়া যায়।

(ম্যাপ: অঙ্গ-সংবাহন পদ্ধতি )